তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি:
করোনাকালীন সময়ে জমে থাকা সাত কলেজের বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে বর্তমানে ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় অনার্স ৪র্থ বর্ষ(২০১৫-১৬ সেশন) ও অনার্স ৩য় বর্ষের একযোগে পরীক্ষা চলছে৷অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা জানুয়ারীর ২৫ তারিখ শুরু হয়ে মার্চের ২তারিখ শেষ হওয়ার কথা রুটিনে উল্লেখ রয়েছে৷এদিকে অনার্স ৩য় বর্ষের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারীর ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে চলমান রয়েছে৷ঢাবির পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল৷কেননা তারা ইতিমধ্যে মোটামুটিভাবে দেড় বছরের সেশন জটে আটকে আছে৷
এদিকে প্রশ্নপত্র প্রনয়নের ক্ষেত্রে দেখা গেল ঢাবি করোনাকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে নির্ধারিত চার ঘন্টার পরীক্ষা দুই ঘন্টায় নেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয় এবং সকাল বিকাল দুই শিফটে পরীক্ষা হওয়ার কথা বলে৷যদিও তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বললেও পরীক্ষার হলে গিয়ে তার তেমন কোনো নমুনা খুঁজে পাওয়া যায় নি৷
ঢাবির এবারের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই একটাই অভিযোগ করেছেন যে,ঢাবি কোনো আগাম নোটিশ ছাড়া পরীক্ষার মানবন্টন ও পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং তারা যে সময়ের মধ্যে যেসকল প্রশ্নগুলো উত্তর দিতে বলেছে তা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷তাদের আরো অভিযোগ যে,পরীক্ষার রুটিন হাতে পেয়ে যতটুকু সময় পেয়েছে সে হিসেবে তাদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রনয়নের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ ছিল৷
উল্লেখ্য অনার্স ৩য় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের আজকে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে,প্রশ্নে দুই ঘন্টা সময়ের মধ্যে আটটি প্রশ্ন হতে যেকোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে৷যেখানে কিনা পূর্ববর্তী সেশনের পরীক্ষার্থীরা একই ধরনের প্রশ্ন প্যাটার্নে ২০১৯ সালে চার ঘন্টায় আটটি প্রশ্ন হতে যেকোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিল৷
এদিকে অনার্স ৩য় বর্ষের রুটিন এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা যেদিন যেদিন আছে ঠিক তার পরদিন এমনকি অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার দিনও কোনো কোনো বিভাগে সকালে পরীক্ষা রাখা হয়েছে৷সেক্ষেত্রে যারা অনার্স ৪র্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মানোন্নয়নের জন্য অনার্স ৩য় বর্ষে পরীক্ষা দিচ্ছে তারা চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে৷
এ ব্যাপারে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক সেলিমুল্লাহ স্যারের কাছে এবং সাত কলেজের প্রত্যেকটি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর কয়েক বার লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা নাকি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি বরং তারা তাদের অসহায়ত্বের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন বলে এপিএস নিউজ২৪ এর প্রতিনিধির কাছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা জানান৷
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ঢাবির সমন্বয়ক কমিটির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তাদের পরীক্ষা যথাযথভাবে দিয়ে যাচ্ছে৷কিন্তুএভাবে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে সে ব্যাপারে তারা সন্দেহ প্রকাশ করছে৷
এমতাবস্তায় শিক্ষার্থীদের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে এবং তারা ফলাফল বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঢাবির সমন্বয়ক কমিটির সদয় বিবেচনা প্রত্যাশা করছে৷