এপিএস নিউজ ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত মেনেই রমজান মাসে কিছু কিছু ফ্যাক্টরি খোলা রাখার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। আমরা তো সবাইকে বসিয়ে রাখতে পারব না। কিছু কিছু ফ্যাক্টরি খোলা রাখতেই হবে। তবে সবাইকে একসঙ্গে আনা যাবে না এবং সুরক্ষা দিয়ে সীমিত আকারে তাদের আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’
সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৫ এপ্রিল পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়ার বিষয় তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুপারভাইজারকে দিয়ে শ্রমিকদের ফোন করিয়ে ডেকে আনা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। মাইলের পর মাইল হেঁটে এসেছে, অনেক বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। যে সময় গাড়ি বন্ধ ছিল।’
গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের আনার ব্যবস্থা যেমন করতে হবে তেমনি কর্মস্থলে নেয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।’
গাজীপুরে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা ইন্ড্রাস্টিয়াল বেল্ট, আমাদের লক্ষ্য আছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার। বিশেষ করে যারা রপ্তানি বেজড।’ তিনি বলেন, ‘লকডাউন নিশ্চিত করে সীমিত পর্যায়ে হলেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সেটি কীভাবে করা যায় নিশ্চিত করতে হবে। তবে এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত মেনেই কাজ করতে হবে।’
গার্মেন্টস মালিকরা করোনার সুরক্ষা সামগ্রী তৈরির নামে অন্য কাজ করছেন এবং কিছু গার্মেন্টস কারখানার সমন্বয়ের অভাবে গাজীপুর জেলা আজ করোনা আক্রান্ত বলেও ভিডিওতে কনফারেন্সে অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। আমি পরবর্তীতে গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে বসব।’
এপিএস/২১ এপ্রিল/টিআইটি