১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকামী মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনার দিন : ন্যাপ
‘১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ জাফর-জয়নাল-দিপালী-কাঞ্চন’এর অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, একটি গণতান্ত্রিক ভূখন্ডের জন্য এ জনপদের মানুষ বারবার অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। যুগে যুগে সামরিক-বেসামরিক ছদ্মবেশে স্বৈরাচারীরা ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণ প্রতিবাদ করলে জুটেছে বেয়নেট, বুট, গুলি, টিয়ারশেল। ১৪ ফেব্রুয়ারি হয়ে ওঠে মুক্তিকামী মানুষের গণতান্ত্রিক চেতনার দিন, স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, শহীদ জাফর-জয়নাল-দিপালী-কাঞ্চনের স্বপ্নের গণতন্ত্র এখনও অধরা। তবে ছাত্ররা প্রথম থেকেই এরশাদের শাসনক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। শুরু হয় প্রতিরোধ আন্দোলন। ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। পশ্চিম থেকে আগত ভ্যালেন্টাইনের জোয়ারে ভেসে গেছে রক্তের অক্ষরে লেখা, এ প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে সেই সব শহীদের নাম।
নেতৃদ্বয় বলেন, সামরিক স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটলেও আমাদের রাজনীতিতে স্বৈরতান্ত্রিক ধ্যানধারণা বহাল আছে। ভালবাসা দিবস নাম বেদেশী সংস্কৃতি আমদানিকারী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যখন নীতিবাক্য বলেন, তখন মনে হয় জাতি হিসাবে আমরা কতটুকু ব্যর্থ। আমাদের রাজনীতিবিদরা কতটুকু স্বার্থপর।
তারা বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হলো মানুষ যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে, সেটা কতটা সংহত হয়েছে? আজ বিএনপি অভিযোগ করে, আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগও একই অভিযোগ করত। গণতন্ত্র অধরাই থেকে গেছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু লেবাস ও ছবি বদল নয়, গণতন্ত্র একটি ব্যবস্থা এবং তার নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন। আব্রাহাম লিংকনের ভাষায়, ‘গণতন্ত্র হলো জনগণ দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের শাসন।’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সেই জনগণই অনুপস্থিত থাকে। তারা কেবলই সংখ্যা।
তারা বলেন, ৩৭ বছরে বাংলাদেশ অর্থনীতির সূচকে অনেক এগিয়ে গেছে। মানুষের গড় আয় ও আয়ু দুটোই বেড়েছে। শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি সাতের ঘরে পৌঁছেছে। কিন্তু রাজনীতি তথা গণতন্ত্রের সূচকগুলো অবিশ্বাস্যভাবে নিম্নগামী।