মহিপুর -কুয়াকাটা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর মহিপুরে কিশোর কে অপহরণ করে গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দায়ের কৃত মামলায় পৃথক অভিযানে ২ জনকে আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
নিঁখোজের ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত ভিকটিম মহিপুর গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে রায়হানের সন্ধান মেলেনি।
গতকাল রবিবার ঐ কিশোরের পিতা বাদি হয় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
গতকাল রাতে অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজাহার ভুক্ত ৯ নম্বর আসামি লতাচপলীর ফাসিপাড়া গ্রামের বেল্লাল বেপারীর ছেলে ইউসুফ বেপারীকে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানা পুলিশ। এবং আজ সোমবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে মামলার ৩ নম্বর আসামি কুয়াকাটা পৌরসভার পশ্চিম কুয়াকাটা গ্রামের আইয়ুব আলী খানের ছেলে ইলিয়াস খান কে গ্রেপ্তার করে মহিপুর থানা পুলিশ।
এসময় গ্রেপ্তার কৃত আসামি ইলিয়াসের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জান ও তদন্ত অফিসার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড মোথাউপাড়া গ্রাম থেকে ৫৭৫ লিটার মদ তৈরির উপকরণ ও ১০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
এসময় অপহৃত যুবক রায়হান কে যেই স্থানে রেখে নির্যাতন চালানো হয়েছে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তাকে বাধার রশি ও লাটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে নিঁখোজ ছেলের সন্ধানে দিশেহারা হয়ে পরেছে নিঁখোজের পরিবার। তারা তাদের সন্তান কে অক্ষত ফেরত চান এবং মামলায় বর্নিত সকল আসামি কে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি ভিকটিম কে অক্ষত উদ্ধারের জন্য এবং মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য :বৃহস্পতিবার ঐ কিশোর শশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তার বাড়ি থেকে বের হয় পরবর্তীতে তাকে জঙ্গলে নিয়ে একদল যুবক হাত পা বেধে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায় যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ভিডিও দেখে তার পিতা শুক্রবার রাতে মহিপুর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।