মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
নদীর ধারে গাছের আপেল এক পথিক পেড়ে খেলেন অনুমতি ছাড়া ভক্ষণ করে চিন্তায় পড়ে গেলেন। কি করা যায় কেমনে পাবো গাছের মালিক কে? খুঁজতে খুঁজতে ঠিকই মিলে বাগান বাড়ির দিকে। যেই বলেছি মাফ করে দেন আপেল ছিড়েছি অনুমতি বিনা আপনার ক্ষমা বড়ো প্রয়োজন না হলে তবে মাফ পাবো না। বাগানের মালিক দেখলো ভেবে এমন ছেলে আজও আছে বুঝি ভয় পাই যে মহান রবে পরীক্ষা তোমায় দিতে হবে শোন মাফ পেতে হলে আজি। বছর খানেক কাজ করা হলো আপেল খাওয়ার শাস্তি রাজি হয়ে তখন গোনাহ মাফ হবে এই ভেবে মিলে স্বস্তি। বাড়ির মালিক গভীর ধ্যানে দোয়া করে বার বার এমন বৎস আজও আছে ধরায় তার জুড়ি মেলা বড়ো ভার। এক বছর পার হয়ে গেলো সাজা এবার চাইছে ছুটি বাগানের মালিক বললো বাবা পরীক্ষা তোমায় দিতে আরো একটি নয় দুটি। শেষ পরীক্ষার প্রশ্ন কি হবে চিন্তায় কপালে ভাঁজ কন্যার বিয়ে করিতে হইবে শুনে মাথায় পড়ে বাজ। দুহিতা তাঁর দেখিতে কুৎসিত কানা বোবা ও কালা বাসর ঘরে গিয়ে দেখা যায় অপরুপ সুন্দরী ও ধলা। ফিরে এসে তখন জবাব চাহিল বিয়ে করিনু এমন সুন্দরী কনে মেয়ের বাবা মুচকি হেসে বলল দেখেছো যাকে অপ্সরা সে ওটাই আমার মেয়ে। আপেল চোর না ভুলে খেয়ে ছিল মালিকের অনুমতি ছাড়াই অপর মালিকের পরীক্ষা পাশে চোর হইলো বাগান মালিকের জামাই। সততার পুরস্কার দুনিয়ার সাথে পরকালে ও পাবে মুক্তি চোর বাটপারী দুর্নীতি ছাড়ো সততাই হোক শক্তি। কবি ও লেখকঃ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, কলামিস্ট, আইন বিশ্লেষক ও কবি।