গ্রাম পুলিশের মধ্যে দফাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৯তম গ্রেডে এবং মহল্লাদারদের ২০তম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। আপিলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুলাই ধার্য করে সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে গ্রাম পুলিশদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
২০১৯ সালের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর এ রায় দেয় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক- আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে গত বছরের ২ জুলাই এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায়ে বলা হয়, সহজ সরল ও নিরহঙ্কারী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর প্রতীক এই দফাদার ও মহল্লাদার। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার কাকে বলে এরা জানে না। সবচেয়ে কম সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েও জনগণকে বেশি সেবা প্রদান করে তারা। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ মোতাবেক আইনানুযায়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে তার ন্যায্য অধিকার, ন্যায্য প্রাপ্যতা, ন্যায্য প্রত্যাশা তথা আইনসম্মত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।’ রায়ে জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে দফাদার ও মহল্লাদারদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা বলা হয়।
২০০৮ সালে গ্রাম পুলিশদের জাতীয় বেতন স্কেলের চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে ওই সিদ্ধান্ত পরবর্তী সময়ে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ২০১৭ সালে ৩৫৫ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে একই বছর ৩ ডিসেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের ওই রায় আসে।