অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের এক মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন এক আসামি। কিন্তু তথ্য গোপন করে একটি রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ফের জামিনের আবেদন করায় আসামির জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে কারাগারে থাকা আসামি চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) সহকারী পোস্টমাস্টার (সাময়িক বরখাস্ত) নূর মোহাম্মদ আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেয়।
হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
তিনি বলেন, ডাক বিভাগের গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নূর মোহাম্মদ গ্রেপ্তার হন। জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। গত ২১ জানুয়ারি এ রুলের ওপর শুনানির দিন ছিল। কিন্তু ওই দিন নূর মোহাম্মদের আরেকটি জামিন আবেদন শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে এবং সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করে হাইকোর্ট। বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দৃষ্টিগোচর হলে হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়। পরে হাইকোর্ট এক আদেশে গত ১০ ডিসেম্বর দেওয়া রুলটি খারিজ এবং ২১ জানুয়ারি দেওয়া রুল প্রত্যাহার (রিকল) ও উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।
এছাড়া আদালত বলে, আসামি আগামী চার মাস কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবেন না।
গত বছরের ২৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামের জিপিও কার্যালয়ে ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার আকস্মিক অভিযানে নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে গ্রাহকের ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নূর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সরওয়ার আলম খানের বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর মামলা করে দুদক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার তদন্তে নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে।