রাজশাহীর আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়েছে। এরপর আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. মনসুর আলমের উপস্থিতিতেই ৫০ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দেন মোহরের ২৫ লাখ টাকা নগদ দেয়া হয়।
বিয়ের পর মুঠোফোনে ওই নারী (২৭) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।
ধর্ষক এস এম সাখাওয়াত হোসেন রানা পেশায় চিকিৎসক। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার।
নগরীর টিকাপাড়া এলাকায় ডা. রানা ভাড়া থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁর পোরশায়। তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৫ জুলাই গ্রেফতারের পর থেকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারেই ছিলেন। প্রায় ছয় মাস কারাবাসের পর বিয়ের শর্তে জামিন পান ডা. রানা।
বিয়ের পর ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘ডা. রানার বাবা গত সোমবার তার ছেলেকে বিয়ে করতে আমাকে প্রস্তাব দেন। অনেক কিছু ভেবে আমি রাজি হই। এরপর সেদিনই আদালতে একটি পিটিশন করা হয় যে, মামলার বাদী এবং আসামি বিয়ে করতে চান। আসামিকে যেন জামিন দেয়া হয়। এ দিন বিচারক আসামিকে বুধবার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। বিচারক সিদ্ধান্ত দেন, আদালতেই তাদের বিয়ে হবে। সে অনুযায়ী আজ ডা. রানাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর বিচারকের সামনেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।’
ওই নারী জানান, বিয়েতে তার পক্ষে আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম এবং রানার বন্ধু মাসুদুজ্জামান কাজল সাক্ষী হয়েছেন। রানার পক্ষে তার বাবা মোখলেসুর রহমান, ভগ্নিপতি সাইফুল ইসলাম এবং হুমায়ুন কবীর নামে আরেকজন সাক্ষী হয়েছেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালত ডা. রানার জামিন মঞ্জুর করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি আদালতের হাজতখানায় ছিলেন। কাগজপত্র প্রস্তুত হলে বিকেলেই তিনি ছাড়া পাবেন।