নিজস্ব প্রতিবেদক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পারিবারিক জমি জায়গা ভাগাভাগির পর ভাঙা ঘরের মাটিকাটা নিয়ে আপন দুই ভাই তোফাজ্জেল ও তার পরিবারের হামলায় স্বামী-স্ত্রী দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের এলংগী পাড়ায় ঘটেছে।
আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত হারান শেখের মেঝো ছেলে মোবারক (৫৫)।আহত মোবারকের স্ত্রী খাদিজা (৪৫) ও তার মেয়ে শারমিন (২০) ।
আহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মৃত হারান শেখের সম্পতি তার তিন ছেলের মাঝে ভাগ বন্টন করা হয়।ভাগাভাগিতে সেজো ছেলে তোফাজ্জেলের অংশ পড়ে গর্তের মধ্যে।গর্তের মধ্যে ঘর করার জন্য আগের ভাঙা ঘরের মাটিকাটা নিয়ে মেঝো ভাই মোবারকের পরিবারের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ের হাতাহাতি শুরু হয়।এক পর্যায়ের তোফাজ্জেল এবং তার পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে দা, চাকু,লাঠিসসহ দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে মেঝো ভাই মোবারক তার স্ত্রী খাদিজার মাথা ও পিঠ রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হলে কুমারখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এসময় তার মেয়ে শারমিনও আহত হন।
বর্তমানে মোবারক এবং তার স্ত্রীর গুরুতর আহত অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
উল্লেখ্য এর আগেও তোফাজ্জেল গংদের হামলায় মোবারক গুরুতর আহত হন এবং মাথায় হাত সেলাই দিতে হয়।
এবিষয়ে আহত মেঝো ভাইয়ের জামায় মিলন বলেন, ওরা মাঝেমাঝেই আমার শশুরর পরিবারের উপর হামলা করে।আজও জমি নিয়ে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে আমার শশুরীকে গুরুতর জখম করে। সেঝো ভাইয়ের ছেলে মিলন বলেন, দাদার জমি জায়গা ভাগাভাগি করে আমাদের গর্তের মধ্যে দিয়েছে।পুরানো ঘর ভেঙে সেই গর্তের মধ্যে নতুন করে ঘর করার জন্য আগের ঘরের মাটি কাটতে গেলে চাচা,চাচীরা আমার বাবাকে রক্তাক্ত জখম করে।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত স্বাপক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।