বিংশ শতাব্দীর এই আধুনিকায়নের যুগে সভ্যতা যখন প্রবলমাত্রায় বিকশিত,ঠিক সেই লগ্নে দাঁড়িয়ে আমাদের দৃষ্টি যায় এমন কিছু অঞ্চলের দিকে যেখানের মানুষ জন আজও মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়!তাদের যুদ্ধ করতে হয় প্রকৃতির বিরুদ্ধে,তাদের যুদ্ধ সুপেয় পানির জন্য, তাদের যুদ্ধ ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে,তাদের যুদ্ধ করতে হয় প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিরুদ্ধে ।
এমন একটি গ্রামের নাম সাতক্ষীরা জেলার,শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রাম। গল্পটা সেই গ্রামেই বেড়ে ওঠা একটা ছেলের।তার নাম আশিকুর রহমান।করোনা ভাইরাসের মহামারীর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন পুরো দেশ যখন লকডাউনে বন্দী,ঠিক সেই সময়ে সে নিজের জীবন বিপন্ন করে ছুটে চলছে ঐ অসহায় মানুষদের কাছে, কখনও খাবার নিয়ে কখনও বা নিত্য প্রয়োজনিয় দ্রব্য কিংবা জীবন বাঁচানো ঔষধ নিয়ে।
লকডাউনে মানুষজন যখন গৃহ বন্দী তখন সে অবহেলিত মানুষদের চিকিৎসা হেতু সারা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে অনলাইনে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করে।
সাতক্ষীরা জেলা ভৌগোলিক কারনে দক্ষিণ বঙ্গে অবস্থিত,শীতের সময় স্বভাবতই সেখানে শীতের প্রাদুর্ভাব বেশি তাইতো কবি সাহেদ আহমেদ লিখেছেন,
“শুনেছি আমি বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের হাহাকার, শুনেছি শীতে কাতর এক নবজাতকের চিৎকার। হাড় কাপা শীতে পশুপাখি সব করছে আহাজারি, রাস্তার পাশে শুয়ে আছে জীর্ণশীর্ণ কত শত ভিখারি।”
তাইতো শীতার্তদের বস্ত্রদান হেতু সে ছুটে চলেছে ঐ সকল অবহেলিত মানুষের কাছে যাদের কাছে নেই শীতের গরম কাপড়। গত ১৯ তারিখ সে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয় ২০০ পরিবারের মাঝে গরম কম্বল,এবং একই দিনে তারই উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ২টি বাড়ি,৭ টি টয়লেট এবং মসজিদের জন্য একটি ওজু খানা।
কামনা থাক যুগে যুগে আশিকুর রহমানের মতন মানবতা বাদী মানুষের আগমন ঘটুক এই দেশে। তবেই একদিন তৈরী হবে সােনার বাংলাদেশ।
নাহিদ হাসান