বিশেষায়িত আইন পেশা ও সেবার মান উন্নত করতে, তারুণ্যের স্বপ্ন বাঁচাতে আইনজীবী অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতি সংস্কারে ৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে
আইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশদের সংগঠন অাইনজীবী সনদ অধিকার আন্দোলন। অন্যান্য বিশেষায়িত পেশায় অন্তুর্ভুক্তি আইন পেশাকে বিবেচনায় দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে,
১. জটিল, সময়সাপেক্ষ ও হয়রানিমূলক তিন ধাপের পরীক্ষা নামক ছাঁটাই প্রক্রিয়া বাতিল করা। উপজেলায় আদালত চালু, গ্রাম আদালত পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিচারক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও আইনজীবীদের কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
২.আইন স্নাতকদের শিক্ষানবিশকাল এক বছর নির্ধারণ করা। শিক্ষানবিশকালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট সংখ্যক সেমিনার-কর্মশালা-প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ সাপেক্ষে আইনজীবী সনদ প্রদান করা।
৩. বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সমন্বয় সভার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মেয়াদে আইনে স্নাতক পর্যায়ে কাম্য ছাত্র সংখ্যা নির্ধারণ করা অথবা বিশেষ প্রতিষ্ঠান গঠন করে আইন ছাত্র সংখ্যা, সিলেবাস ও পেশাগত সংকট সমাধানে সমন্বয়ের ব্যবস্হা করা।
৪. বিজ্ঞ আদালতে মামলা পরিচালনায় নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত শিক্ষানবিশ আইনজীবীর অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে অন্তর্ভুক্তিকরণের পূর্ব পর্যন্ত ন্যূনতম শিক্ষানবিশ সম্মানী ফি ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। একইসাথে বৈশ্বিক অতিমারি-মহামারি করোনকালের ২য় ঢেউ সামাল দিতে দেশের জনগণকে নাভীঃশ্বাস ফেলতে হচ্ছে। আতঙ্কিত জনজীবনে স্হবিরতা নেমেছে। আইনজীবী অন্তর্ভুক্তিকরণ পদ্ধতি সংস্কারে চলমান গণআন্দোলন অগ্রাহ্য করে ১৯ ডিসেম্বর করোনকালের স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে ত্রিস্তর পরীক্ষার ২য় স্তরের পরীক্ষা দীর্ঘ সময়পূর্বক আয়োজন করার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। সারাদেশ থেকে ১৩ হাজার পরীক্ষার্থী রাজধানী ঢাকা মহানগরী জমায়েত করে ৪ ঘন্টার পরীক্ষা গ্রহণে বার কাউন্সিল অবিবেচনাপ্রসূত গোঁয়ার্তুমি করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের আয়োজনে ব্যর্থ, উদাসীন, বিতর্কিত, দুর্নীতি-ভুলনীতিতে ডুবন্ত প্রতিষ্ঠান বার কাউন্সিল জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারেনা। অনেক পরীক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত, অবিলম্বে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা বন্ধে রাষ্ট্র-সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপকামনাসহ আইনজীবী অন্তর্ভুক্তিকরণে ৪ দফা মেনে নেওয়ার জন্য গণমাধ্যমে প্রেরিত যৌথ বিবৃতিতে এসব বলেন, আইনজীবী সনদ অধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক সুজন বিপ্লব ও সদস্য সচিব কফিল উদ্দিন মোহাম্মদ। নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে, বিশেষায়িত আইন পেশার মান উন্নয়নে ও দক্ষ আইনজীবীর চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তত্তাবধানে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মশালা, প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ সাপেক্ষে শিক্ষানবিশকাল অন্তে আইনজীবী সনদ প্রদানের জোরালো দাবি জানান। লক্ষাধিক বেকারের কর্মসংস্থানের লক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের রেজিষ্ট্রেশনভুক্তদের শিক্ষানবিশি অন্তে অাইনজীবী সনদের প্রদানে ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।