বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে যত রকমের সাজা বা শাস্তি আছে তার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড। বিদেশে এটিকে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট ও বলে থাকে । তবে বিশ্বের সব দেশে এই ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট বা মৃত্যুদন্ডকে শাস্তির মাত্রায় বা মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে আইনী স্বীকৃতি দেয় না। অনেক দেশ মৃত্যুদন্ডকে কঠিন ও নিষ্ঠুর সাজা মনে করেন। বাংলাদেশে তথা উপমহাদেশে মৃত্যুদন্ডকে সাজা হিসাবে মেনে নেওয়া হয়েছে আইনে। যত গুলো শাস্তি প্রদানের মতবাদ বা থিওরি আছে তার মধ্যে মৃত্যুদন্ড (Death Penalty) প্রতিশোধমূলক শাস্তির পর্যায়ে পড়ে যেমনঃ প্রতিশোধমুলক শাস্তি মতবাদটি সার্বজনীন। অতি প্রাচীনকাল থেকেই এই ধরনের শাস্তি প্রচলিত। আগে প্রতিশোধমুলক শাস্তিতে ‘চোখের বদলে চোখ’, ‘দাতের বদলে দাত’, ‘জীবনের বদলে জীবন’ ইত্যাদি শাস্তি প্রচলিত ছিল। যে ব্যাক্তি কোন অপরাধ করেন, তিনি অনিষ্ট করেন সমাজের তথা দেশের।
অপরাধী অপরাধ করবে, আর রাষ্ট্র তা নীরবে মেনে নেবে, তা হয়না, হওয়া উচিত নয়। কোন অপরাধীকে অপরাধ করতে দেখলে একজন শান্ত নাগরিকের মনও ক্ষেপে ওঠে, তিনিও ঐ অপরাধীকে তাৎক্ষণিক আঘাত করতে চান। কারন তার মন এই অপরাধের প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু তিনি যদি তা করেন তাহলে সেটাও অপরাধ হয়ে যাবে। তাই রাষ্ট্রই তার কোন নাগরিক তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করা কোন অপরাধের প্রতিশোধ নিতে চায় শাস্তির মাধ্যমে। আর এটাই হলো প্রতিশোধমুলক শাস্তি (Retributive Theory) । পৃথিবীর ধর্মশাস্ত্রগুলোতেও প্রতিশোধের বিধান আছে। শাস্তির উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে অপরাধ বিজ্ঞানীরা শাস্তিকে ৪ প্রকারে বিভক্ত করেছেন। মৃত্যুদন্ডকে শাস্তি হিসাবে দেওয়া বা না দেওয়াকে পৃথিবীব্যাপী তর্ক-বিতর্ক আছে।
সারা পৃথিবীতে অপরাধের মাত্রা ভেদে অনেক ধরনের শাস্তির বিধান থাকলেও বাংলাদেশে প্রায় ৬ ধরনের শাস্তির বিধান আছে। বাংলাদেশ দন্ডবিধির (Penal Code) ৫৩ ধারায় শাস্তি বা দন্ড কি কি ধরনের হবে তা বিবৃত করা আছে। যেমন-ক) মৃত্যুদন্ড (ফাসি) (Death Penalty), খ) যাবজ্জীবন কারাদন্ড (Life Imprisonment), গ) সশ্রম কারাদন্ড (Vigorous), ঘ) বিনাশ্রম কারাদন্ড (Simple Imprisonment), ঙ) সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরন (Confiscation), চ) অর্থদন্ড (জরিমানা) (Fine) এইসব শাস্তির বাহিরেও কয়েক ধরনের শাস্তির প্রচলন আছে। যেমন- ক) অক্ষমতা ঘোষণা, খ) দেউলিয়া ঘোষণা এবং গ)চালকের লাইসেন্স বাতিল করা ইত্যাদি।
একটি রাষ্ট্র যা করতে নিষেধ করে ও সেই কাজ যদি কেউ করে অথবা রাষ্ট্র যা করতে আদেশ করে সেই কাজ যদি কেউ করে তবে তা রাষ্ট্রের উপর আঘাতের শামিল হয়। রাষ্ট্র যদি এই অনিয়মের কোনরুপ শাস্তির বিধান না করে তবে রাষ্ট্রে তুমুল বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার সৃষ্টি হবে যা রাষ্ট্রের জন্য অমঙ্গলজনক তাই যে কোন অনিয়ম বা আইন ভঙ্গের জন্য অবশ্যই শাস্তির বিধান রাখা জরুরী।
মৃত্যুদন্ডাদেশ একটি নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অধঃপতিত শাস্তি। বর্তমান বিশ্বের অর্ধশতকের ও বেশি রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম একটি ধরণ হলো রাষ্ট্র কর্তৃক সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হিসেবে মৃত্যুদন্ডাদেশের আইন। ১৯৪৮ সালে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পর মাত্র ৮টি দেশ অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধানকে বাতিল করে। ১৯৭৭ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ তে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের (Amnesty International) হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৪২টি দেশ সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হিসেবে মৃত্যুদন্ডের আদেশকে বাতিল করে যা বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দেশের সমপরিমাণ। তবে এ দেশগুলোর মধ্যে কেবল ১০২টি দেশ সকল প্রকার অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ডের আইনকে বাতিল ঘোষণা করেছে। তবে ৫৫ টা দেশ তাদের আইনে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখেছে তবে তার মধ্যে । ২২-২৩ টি দেশ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে এবং এগুলোর মধ্যে চায়না, ইরান, সৌদি আরব মৃত্যুদন্ড কার্যকরে শীর্ষ দেশ ।
২০১৮ সালে সমগ্র বিশ্বে (চীন ব্যতীত) ১৭০০ টিরও বেশী মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘটনা দেখা যায় যা ২০১১৬-১৭ সালের চেয়ে ৬৪% বেশী। মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রণীত সনদ ৬২/১৪৯ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০৮ সালে এ সনদটি প্রয়োগ করা হয়। বাংলাদেশ মৃত্যুদন্ড সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান থাকলেও তা কার্যকর করার হার খুব বেশী নয়। বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে ৮টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫টি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫টি সহ প্রায় ডজন দুয়েক অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন অপরাধের শাস্তির বিধান করে নিত্য নতুন আইনও পাশ করা হচ্ছে। কিন্তু হত্যার মতো অপরাধ তাই বলে কোন দিনই কমে নাই।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ১৯৯০ সালে যেখানে সারাদেশের খুনের মামলা হয়েছিল ২২০৬টি এবং ২০১৫ সালে তা ছিল ৪৯৮৮টি। যদিও এই বৃদ্ধি আশঙ্কাজনক কিছু নয়, তবুও মৃত্যুদণ্ডের বিধান এই নিম্ন হারের জন্য দায়ী বলে মনে করার কোন কারণ নেই। যুক্তি হিসাবে অনেকে বলেন, মৃত্যুদন্ড অপরাধ কমাতে সহায়তা করে না। তবে একটি কেসে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ওই যুক্তি অগ্রাহ্য করে BLAST and others Vs State মামলায় পর্যবেক্ষণ বলেছেন “Our social conditions, social and cultural values are completely different from those of western countries. The European Union has abolished death penalty in the context of their social conditions and values, but we cannot totally abolish a sentence of death in our country because the killing of woman for dowry, abduction of woman for prostitution, the abduction of Children for trafficking are so rampant which are totally foreign to those developed countries.” 68 DLR [2016] (AD)1. বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে অপরাধ প্রমাণিত হয়ে ফাঁসি হলেই যে তাকে মৃত্যুদন্ডে ফাঁসিতে নিয়ে উহা কার্যকর করা হয় বিষয়টি এমন নয়। নানা আইনী কাঠামো মেনে বা পালন করতে হয়।
বাংলাদেশের ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় প্রথমে পুলিশ মামলা দায়ের হলে উহা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন (চার্জশীট) দেয়। আদালতে ওই চার্জশীট শুনানীতে নিয়ে গ্রহণ করে অভিযোগ গঠন করে অভিযোগের ধরণ অনুযায়ী। সাক্ষী-সাবুদ এর জেরা-জবানবন্দি হয়। পলাতক থাকলে আসামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্য বিধির ৩৩৯ বি ধারার বিধান ও হত্যা মামলার ক্ষেত্রে LR Manual এর বিধান মতে পলাতক আসামীর জন্য রাষ্ট্র সরকারী খরচে আইনজীবী নিয়োগ করে থাকেন যাকে State Defence বলা হয়। রাষ্ট্রীয় খরচে মামলা পরিচালনায় অপরাধ প্রমাণিত হলে পলাতক আসামী পরবর্তীতে গ্রেফতার বা আটক বা আত্নসমর্পণ করলে সাধারণত আইনগত কোন প্রতিকার লাভে হকদার হননা । কারণ আইনের ভাষ্য পলাতক আসামী (fugitive offender) কোন আইনী প্রতিকার পেতে হকদার নয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামীর সরাসরি বিরুদ্ধে আসা সাক্ষীর বক্তব্য পাঠ করে শুনাতে হয় এরপরে আসামী তারপক্ষে সাফাই সাক্ষী না দিলে সিআর পিসি এর ২৬৫ জে ধারা অনুযায়ী যুক্তিতর্কের মাধ্যমে রায়ের দিন ঘোষণা করেন এবং সিআর পিসি এর ২৬৫ কে ধারা অনুযায়ী আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হলে আসামীর মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশে ৬ টি অপরাধ (Offense) আছে যার শাস্তিই হলো only মৃত্যুদন্ড/Mandatory Death Sentence যেমনঃ ১. সংবিধান স্থগিত বা বিলোপ করা, ২. যাবজ্জীবন দন্ডে দন্ডিত আসামী কর্তৃক হত্যাকান্ড, ৩. যাবজ্জীবন দন্ডে দন্ডিত আসামী কর্তৃক হত্যাচেষ্টা, ৪. যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা (Murder wife for dowry) , ৫. বিমান বাহিনী আইনে বিদ্রোহ, ৬. নৌ-বাহিনী আইনে বিদ্রোহ। সিআর পিসি’র (Cr.PC) ৩৬৭ ধারার বিধান মতে অপরাধের দন্ড মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন- যাই দিক- বিচারক কেন এমন শাস্তি দিলো রায়ে তার কারণ (Reason) উল্লেখ থাকবে। সিআরপিসির (Cr.PC) ৩৬৮ ধারার বিধান মতে মৃত্যুদন্ডের আদেশে লেখতে হয়, ‘মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হোক’।
জেলার আদালত গুলোতে সেসস (Session) কোর্টে বা ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদন্ড হলেই ফাঁসি কার্যকর হয় আইনী পদক্ষেপ শেষ এমনটি নয় বরং তা শুরু বলা যায় যায়। সিআরপিসির (Cr.PC) ৩৭১ ও ৩৭৪ ধারার বিধান মতে ১.মৃত্যুদন্ড হলে আসামীপক্ষকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে মাননীয় হাইকোর্টে আপীল করতে হয় । ২. মৃত্যুদন্ড প্রদানকারী আদালত বা ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে (Rule 118 Cr.R.R.O) সমস্ত কাগজপত্র Confirmation এর জন্য হাইকোর্টে পাঠানোর বিধান আছে। আসামী আপীল না করলেও হাইকোর্ট স্বয়ং (ইপসো ফ্যাক্টো) সবকিছু বিচার বিবেচনা ও রায় ও নিম্ন আদালতের নথি বা Case Record পর্যালোচনা করে রায় দিবে।
হাইকোর্টও মৃত্যুদন্ড বহাল রাখলে মাননীয় আপীল বিভাগে আপীল করা যায়। ইতোপূর্বে স্বয়ংক্রিয় (Ipso Facto) ভাবে আপীল বিভাগে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। অবশ্য তারপরে সংবিধান সংশোধন করে বিধান করা হয়েছে সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ মতে আপীল বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কোন মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে না । কোন মানুষের জীবন যেন কোন ভুল বা অন্যায় বিচারের শিকার না হয়, এ জন্য আইনী পদক্ষেপ হিসাবে বিভিন্ন স্তর রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে আপীল বিভাগও মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখলে তা রিভিউ করা যায়।দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় মামলার বিচারকার্যে রিভিউ প্রযোজ্য। রিভিউ (Review) কিছু নির্দিষ্ট এবং নির্দেশিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিচার পুন:নিরীক্ষণকে রিভিউ বলে। বিচার বিভাগীয় প্রত্যেক অঙ্গে রিভিউ সম্ভব। তবে অধিকাংশই ক্ষেত্রেই Review মঞ্জুর হওয়ার নজির নেই। আইনগত লড়াই এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ দন্ডিত আসামীকে মামলার ফলাফল জানাবে, আসামী সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ ও জেল কোডের (কারাবিধি) ৯৯১ বিধিমতে মহামান্য রাষ্টপতির নিকট ক্ষমা ভিক্ষা (Clemency) করার সুযোগ পাবে ।
এক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি মৃত্যুদন্ড ক্ষমা বা মাফ না করেন, তাহলে আইনের বিধান হলো সে আদেশ প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিন হতে ২৮ (আটাশ) দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। জেল কোডের ৯৯৯ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দিনক্ষণ ঠিক করার পর আত্নীয়স্বজনকে শেষ দেখা করার জন্য খবর দেয়া হয় । জেল কোডের ১০০১ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড রাতের যে কোন সময় কার্যকর করা হয় । জেল কোডের ১০০৩ বিধি অনুযায়ী এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, ডাক্তার উপস্থিত থাকেন।
সকল আইনী পদক্ষেপ সম্পন্ন হলে ফাঁসির দড়ি বা রশি দন্ডিতের গলায় লাগানোর পর জেল সুপারের ইশারায় জল্লাদ টেনে ফাঁসি কার্যকর করে। জেল কোডের ১০০৬ বিধি অনুযায়ী ২৫.৪ ডায়ামিটারের ম্যানিলা দড়িতে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার নিয়ম, তবে জেল কোডের ১০০৭ বিধি অনুযায়ী সাধারণত ৫/১০ মিনিট রাখাই মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য যথেষ্ট হয়। তারপর পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) করে লাশ নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন এর নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়। মৃত্যুদন্ডের বিপক্ষে মানবাধিকারের লংঘন বলে যতই মত বা বিরোধিতা থাকুক না কেন হত্যা, ধর্ষণ, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আমাদের মত তৃ্তীয় বিশ্বের দেশে এই আইন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মানুষের কল্যানের স্বার্থেই মৃত্যুদন্ডের মত শাস্তির বিধান রাখা দরকার।এটা নিষিদ্ধ করা উচিত না।
লেখকঃ কলামিস্ট, আইন বিশ্লেষক ও গবেষক। ইমেইলঃ bdjdj1984du@gmail.com