ইবি প্রতিনিধি- একটি দূর্ঘটনা, সারাজীবনের কান্না। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মনিরুল ইসলাম (২৫)। তার পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি তিনি। প্রতিদিনের মত কাজে এসেছিলেন তার পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি মনিরুল। মৃত মনিরুলের পরিবারের হাল ধরবে কে?মা, স্ত্রী আর এক সন্তান নিয়েই মনিরুলের পরিবার। একমাত্র ছেলেব বয়স সবে মাত্র ২ বছর ।
মনিরুল কুষ্টিয়া জেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের খাইরুল ইসলামের ছেলে। তাঁর বাবা পরপারে পারি জমিয়েছিলেন আগেই। কাজে রওনা হওয়ার সময় বায়না ধরেছিল মনিরুলের ছোট্ট ছেলে। তাই বাড়ির পাশের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে দিয়ে কাজে উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন মনিরুল।কে জানতো এই যাত্রা তার অগস্ত যাত্রায় পরিণত হবে? আজ সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ঝড়ে যায় এক তাজা প্রাণ। ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের পাঁচ তলা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মনিরুলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারে। নির্মাণ শ্রমিকদের অভিযোগ, ভবন নির্মাণে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভবনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের ‘সনেক্স ইন্টারন্যাশনাল’ ভবনের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছে প্রকৌশল অফিসসূত্র।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মনিরুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৭টায় কাজে যোগ দেন। ভবনের পাঁচ তলায় ওপরে কাজ করছিলেন তিনি। নিচ থেকে ইট বোঝাই করা ঝুলে থাকা বাকেট রশি দিয়ে ছাদের ওপরে টেনে নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় অধিক ওজন হওয়ায় বাকেটের ভার সামলাতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মাথা থেঁতলে যায় ও দেহের হাড় ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ জানান, ‘বিষয়টি অবহিত হওয়ার সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে নিহত শ্রমিকের লাশ দেখতে পাই। পরে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়।’এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘নির্মাণ শ্রমিকের লাশটি ঘটনাস্থল থেকে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে লাশটি হস্তান্তর করা হবে।’