বিনোদন ডেস্ক
২০১১ সালে নীলগিরির মুদুমালাই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রিসর্টগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। সেই সিদ্ধান্তই গত বুধবার বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। এই রিসর্টগুলিরই একটির মালিক অভিনেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। ফলে তার রিসর্টটির ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। মুদুমালাই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের এলিফ্যান্ট করিডরের একদম গা ঘেষে রিসর্টগুলি তৈরি। এর ফলে এলাকার বুনো হাতিদের চলাফেরার অসুবিধা হয়। বারবার গতিপথ বদলাতে বাধ্য হয় বিশালাকায় প্রাণীগুলো। এর ফলে নীলগিরির ইকো-সিস্টেমে প্রভাব পড়ছে।
বনভূমির তো ক্ষতি হচ্ছেই, তাতে থাকা বন্য প্রাণীদেরও জীবন বিপন্ন হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে এই অভিযোগে প্রথমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এ রঙ্গরাজন নামের এক পরিবেশপ্রেমী। পরে ২০০৭ সাল নাগাদ আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এলিফ্যান্ট করিডরের রিসর্টগুলি ভাঙার নির্দেশ চেয়ে আবেদন জানায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই ২০১১ সালে রিসর্টগুলি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাই কোর্ট।
মাদ্রাজ হাই কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন-সহ আরও ৩২টি রিসর্টের মালিক। শোনা গিয়েছে, ওই এলাকায় আরও অনেক তারকার রিসর্ট রয়েছে। শীর্ষ আদালতে মিঠুনদের যুক্তি ছিল, ওই এলাকায় রিসর্টগুলি হওয়ায় স্থানীয় আদিবাসীদের রোজগার হয়। তাদের সংসার চলে। রিসর্টগুলি ভাঙা হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে।