তামিলনাড়ু ছিলাম। সেখানে ১০০/২০০ গ্রাম মাছ- মাংস কেনা যায়। প্রতিবেলা টাটকা কিনে এনে নিজের রুমে রান্না করে খাইতাম। খুব ভাল সুবিধা মনে হয়েছে।বেঙ্গালুরুতে সন্ধ্যার পর বারগুলোর সামনে ৩০ রুপি দিয়ে ১০০ গ্রাম চিকেন পাকোড়া পাওয়া যায়, চোখের সামনে প্রস্তুত করে দেবে।মেঘালয়ে পাহাড়ি এলাকায় পর্ক এবং চিকেন তরকারি চামচ হিসেবে বিক্রি হয়। ১ চামচ (বড় সাইজের) ২০ রুপি। টাকা থাকলে ৫ চামচ খান না থাকলে ১ চামচ।
কলকাতায় ফুটপাতে ফুচকা খেয়েছি। আপনাকে একসাথে ২০ টা দেবেনা। আপনি যত পিস বলবেন তত পিস। ২ টা চাইলেও খেতে পারবেন ৩০ টা পারবেন।দার্জিলিং ভাত খাওয়ার সময় ১ টা কাচামরিচ দিল। চাইলাম আরও ৫ টা। উত্তর দিল, একটা করে নেন আপনি যতটা খাবেন ততটা দেব। কিন্তু নষ্ট করা যাবেনা। আপনাকে যা দেব তা আর ফেরত নেবনা ফেলে দিতে হবে তাই একসাথে দেওয়া যাবেনা।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের পাশে মাছের বারবিকিউ করে। আমার পেটে ক্ষিদা নাই বাট টেষ্ট করার ইচ্ছে আছে। মাছ পিস করে এক পিস বিক্রি করেছে। খেয়েছি।শিলিগুড়িতে ১ পিস করে আপেল কেনা যায়।কলকাতায় ফুটপাতে মনের মত নাস্তা করা যায়। যেমন ক্লিন, তেমন সতর্ক। আপনি হাত দিয়ে ফুটপাতের দোকান থেকে বিস্কুট নিতে পারবেন না। যে দেবে সে হাত ধুয়ে দেবে এবং যার দোকান সে। ছোট এককাপ চা ৫ টাকা। কিন্তু আপনি অর্ডার করলে চা বানিয়ে দেবে আগে থেকে বানিয়ে রাখেনা। একজন শ্রমিক ফুটপাতে দাড়িয়ে যে দোকানে খাবে একজন বড় কর্তা বা ছাত্ররা খাইতে পারে। সকালের অফিস টাইমে এটা বেশী দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে সতেজ খাবার এবং পরিষ্কার। এবং সামর্থ্য অনুযায়ী খাওয়া যায় একই খাবার।
আমাদের ছোট বেলায় গ্রামে ইলিশ কেটে বিক্রি করতে দেখেছি এবং কিনেছি। এখন যেভাবে খাসি বা গরু বিক্রি করা হয় তা যদি না হত মানে আস্ত কিনা লাগত কয়জন পারতেন? ভারতের এই সিস্টেম আমার ভাল লাগে। এতে সমাজের সব স্তরের মানুষ খাইতে পারে।এই যে বাংলাদেশে এ বছর এত ইলিশ কয়জন শ্রমিক সে ইলিশ খেয়েছে? আবার কারো কারো ফ্রিজে হয়তো জায়গাই হচ্ছেনা।যদি কেটে ১০০ গ্রাম করে বিক্রি করা হত হয়তো একজন রিক্সা চালক বা দিনমজুর তার সন্তান বা বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য একপিস নিতে পারত।
টাকার অভাবে ঘুরতে গিয়ে বা এমনিতে কত মানুষ হোটেলে শুধু ডাল ভাত খায় তার হিসেব আছে? কিন্তু ৩ টুকরা চিকেন একসাথে না কিনে যদি ১ পিস কেনা যেত নিশ্চয়ই অনেকে এফোর্ট করতে পারত।পিস করে বা ছোট ছোট ভাগে বিক্রি করাকে আমি পজেটিভ হিসেবেই দেখি।সূত্রঃ লিখেছেন Ripon Dey..ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।