মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
দরদীয়া যেন শরতের কাল পাল্টেছে দিবানিশি জলবায়ু না আবহাওয়া, পূর্বাভাসে পরিবর্তন অনুভূত বেশি।
ষড়ঋতুর দেশ, সবুজ শ্যামল, মাটির উপরিভাগ ও স্তর, কাশফুলের সেই নরম ছোয়া নেই কেন আজি বিস্তর।
পাল্টে যেতে বসেছে কি? পুরো পৃথিবীর জলবায়ুর ইতিহাস; একি মানুষের হাতের কামাই, নয়তো ভাগ্যের নির্মম পরিহাস।
হতে পারে এটা, প্রকৃতির বিরূপ, বিমাতা সুলভ আচরন; করিবার চেষ্টা চলছে, দূষণের প্রভাবে মিছে বলছো কেন অকারণ?
সততার কাঙাল, মিছে বলার জম প্রতারণা অহর্নিশ করিয়া টলমল বাহিরে ঝলমল দেখে যা ভাবার ভাবিস ।
ওরে হরিদাস পাল আপনা ভাবিয়া, সময় করিছো হেলা বৃথাই গেলো, মানুষে মানুষের উপকার আজ, কাটিয়ে কত বেলা।
নগদ ষাটটি টাকার মায়া ছাড়িতে নিমরাজি, কারে বলো তুমি শিখাও নিত্য যন্ত্রণা পাবে রোজ ই।
অর্থের মায়া ছাড়িতে চাহিনা আরো দাও, আরো চাই ; জীবন মরন সমর শিক্ষা কভু ভুলিয়া না যাই।
এ কেমন খেলা খেলিছো সদা নশ্বর জীবনে হায়, যমদূত পিছে বহুদূর নয়, ডাকে স্বদেশে আয়! আয়!
মুসাফির বেশে বিরাজমান মানুষ, শুধু পাহারাদার তুমি কি করিবো হায়! বেশি যদি পায় অট্টালিকা ও ভূমি।
নয়তো বাদশাহ, রাজা মশাই বেশ করিছো ক্ষমতার বড়াই অহমিকা নয় ভালোবাসা দিয়ো, করি মানবতারই লড়াই। লেখক ও কবিঃ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিচারক, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস।