আহম্মেদ কাওসার (ইবু), পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পুলিশ জনগনের বন্ধু, তার প্রমান মিলে মুকিত হাসানের কাজে। ভালোবাসা ও সেবার শেষ আশ্রয়স্থল পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুকিত হাসান খান। আর তাই সর্বস্থরের জনগণ যে কোন সমস্যা ও সমাধান খুব আন্তরিকতায় ও ন্যায়গতভাবেই পেয়ে থাকে।
সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পুলিশের সেবা থেকেও বঞ্চিত হন এই অর্থে যে, তারা মনে করেন, পুলিশের সেবা নিতে যাওয়ার অর্থ হলো সময়, শ্রম এবং অর্থের অপচয়। তবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। আর এই আশার আলো পটুয়াখালীতে জাগিয়েছেন মুকতি হাসান খান।
তিনি গত মার্চে এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই ডাকাতি, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, খুন, মোবাইলফোন, অটোরিক্সা, গরু চুরিসহ সব ধরণের অপরাধ কমে গেছে।
একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিক তথ্য, প্রযুক্তি, সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশের কল্যাণে।
তার সুনাম শোনা যায় হাজারও মানুাষের কাছে।
সেবা নিতে যাওয়া শিহাব বলেন, মুকিত হাসান খান স্যার একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরীবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। পুলিশ যে জনগনের বন্ধু তাঁকে না দেখলে বা তার কাছে না গেলে সেটা বোঝা যেত না। আল্লাহ তাকে নেক হায়াৎ দান করুক সেই দোয়া করি সবসময়।
খাদিজা আক্তার নামের আরেকজন জানান, অন্যের বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি এবং ঈদের বখশিসের টাকা দিয়ে ১ টি আইটেল মডেলের মোবাইলফোন কিনি। পরে তা হারিয়ে যায় কিন্তু স্যারের সহায়তায় আবার ফিরে পাই। স্যার একজন ভাল মানুষ আল্লাহ তাকে ভাল রাখুক।
এছাড়াও পটুয়াখালী সদর উপজেলাবাসী বলেন, তিনি অন্যায়ের কাছে আপোষহীন একজন পুলিশ অফিসার। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ পটুয়াখালীতে চুরি, ডাকাতি, মাদক চোরা চালান, চাদাঁবাজি, ইভটিজিং মুক্ত হয়েছে। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।
এ প্রসঙ্গে মুকিত হাসান খান বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু, তাদের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে তাদেরকে হেফাজত করতে , মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে। পুলিশী সেবা জনগনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিয়ে আমি আমার পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন তাতে যেন অবদান রাখতে পারি সে বিষয়ে সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং তাদের সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে।
“মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।