নরসিংদী প্রতিনিধি:
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ৭৫’ পরবর্তী সময়ে দেশের দূর্যোগ মূহুর্তে শান্তিকামী শহীদ জিয়াউর রহমানকে এনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসায়| তিনি বন্ধুকের নল টেকিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা আসেনি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। এক সময় জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে একটি মহল চিন্তা করেছিলো জিয়াউর রহমানকে শেষ করে দিলে বিএনপিও শেষ হয়ে যাবে।কিন্তু তারা কখনো ভাবেনি জিয়াউর রহমানকে কখনো বাংলার মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেনা। তার দলকে ধ্বংস করা যাবেনা। তিনি মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদী জেলা বিএনপি আয়োজিত চিনিশপুরস্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্য কালে তিনি এ কথা বলেন।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, আজ আবারও ওই কুচক্রি মহল শহীদ জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তারা শেখ মুজিবের হত্যার দায় শহীদ জিয়াউর রহমানের উপর চাপিয়ে দিয়ে ওনাকে খলনায়ক সাজাতে চাচ্ছে। কিন্তু এদেশের মানুষ জানে কারা শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করেছে। খুনি মোস্তাকের মন্ত্রী সভায় কারা সেদিন যোগ দিয়ে ছিলেন। কারার সেদিন মোস্তাকের মন্ত্রীসভার সফত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেদিনকার সফত অনুষ্ঠানে একজন লোক অনুপস্থিত ছিলেন, তিনি আর কেউ নয় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি মনে প্রাণে শেখ মুজিবের হত্যাকে মেনে নিতে পারেননি।তাই তিনি অগণতান্ত্রিক সরকারের সফত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
তিনি আরোও বলেন, বর্তমান ক্ষমতাশীন দল শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেনে নিতে পারছেনা। সেদিন শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতে আজ বাংলাদেশের জন্ম হতোন। শেখ মুজিবকে বন্দি করে পাকিস্তান নিয়ে গেলে তিনি শেষ মূহুর্তে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেনি।তাই বলে কি অন্য কেউ ঘোষণা দিতে পারবেনা। তার জন্যই কি শহীদ জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু মাত্র স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেনি। তিনি অস্ত্র হাতে স্বশরীরে মুক্তি যুদ্ধ করেছে। মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে জেড ফোর্স গঠন করেন। তার জন্য তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
খায়রুল কবির খোকননের সভাপতিত্বে ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হারুণ অর রশিদ হারুন, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন, শহর বিএনপির সভাপতি এ কে এম গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুখ উদ্দিন ভূইয়া। নরসিংদী জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্ছুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিকদলে সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান খান, রায়পুরা উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কবির আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ, সিনিয়র সহ সভাপতি শাহেন শাহ সানু ও জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের সভাপতি ভিপি নাছির প্রমূখ।