মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
বিশ্ব পরিস্থিতি করোনা সংকটে ক্রমেই বিপর্যস্ত হচ্ছে। মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা যাচ্ছে আগামীকাল কি খাবে, কি পরবে, কোথায় চিকিৎসা করাবে, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ইত্যাদি। এ চিন্তা শুধু যে গরীব মানুষের তা কিন্তু নয়। করোনা ভাইরাস ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। অনেক উন্নত দেশ করোনা সংকটে ও মহামারিতে দিশেহারা । ওষুধ, ভালো হাসপাতাল, নিরাপত্তা সবই তাদের আছে কিন্তু মৃত্যুভয় ও আতঙ্ক চিৎিসকদের চিকিৎসা দিতে অনেককে বাঁধাগ্রস্থ করছে । তাহলে কোথায় যাবে বিশ্ববাসী সেটিই এখন ঘুরেফিরে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ।এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৬,৮০,৯৬৯ জন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৩২৫৭১ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৪৮,৩৪৫ জন। বাকীরা এখনও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে।
ডাক্তারগণ চিকিৎসা করতে অনীহা প্রকাশ করছে।সারা বিশ্বের মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মৌলিক মানবাধিকারের মধ্যে চিকিৎসার অধিকার একটা অন্যতম। বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা মানুষ যে ঠিকঠাক পাচ্ছে না তা বলা যায়।মানব বিধ্বংসী করোনা ভাইরাস মানুষে মানুষে বিভেদ করেছে তা এখন সুস্পস্ট সত্য। বিশ্বগ্রাম (Global Village) কনসেপ্টটি করোনা ভাইরাস দ্বারা একাকার এবং সেখানে বিশ্বব্যবস্থাটি ভেঙে পড়তে বসেছে। জাতিসংঘ বলেছে, মানবজাতির জন্য বড় বিপদ ও হুমকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মহামারি ও গভীর সংকট ।
জীবন, অধিকার, সমতা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ সুবিধাগুলিই মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। অধিকারগুলি কেউ কখনো কারো কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না। জাতিসংঘে মানবাধিকারের সার্বজনীন (Universal Declaration of Human Rights) ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয় ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর এবং তথায় মৌলিক মানবাধিকারগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী “মানবাধিকার অর্থ-বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত কোন ব্যক্তির জীবন, অধিকার, সমতা ও মর্যাদা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান আদালত দ্বারা বলবৎযোগ্য (Enforceable) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে ঘোষিত মানবাধিকার।” করোনা লকডাউনে সারা বিশ্বের মানবাধিকার হুমকির মুখে পড়েছে। কে কাকে রক্ষা করবে। সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের মূলনীতিগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এবং নাগরিকের মানবাধিকারের সুরক্ষায় বিভিন্ন বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।’ সংবিধানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বিশ্রাম ও চিত্ত বিনোদন এবং সামাজিক নিরাপত্তার মত অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবাধিকারসমূহ এবং নাগরিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সুরক্ষার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। করোনা সংকটে মানবাধিকার ও সংবিধান শুধু নয় সবকিছুই লিখিত বিধান হয়ে গেছে। যারা এই সংবিধান মেনে মৌলিক অধিকার আদায় করে দিবে তারাই নিজেরাই করোনা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেক দেশ আংশিক ও সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেটি করেও অবস্থার কতটা উন্নতি ঘটবে, তা সুনিশ্চিভাবে বলা কঠিন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেসব দেশ প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে, সেসব দেশে দ্বিতীয় দফা আক্রমণ হতে পারে। বাংলাদেশ সান্ত্বনা খুঁজতে পারে এই ভেবে যে ১৫০টি দেশে ১০০ জনের কম আক্রান্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ আছে। এখনো আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ পার হয়নি। ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশেও অঘোষিত লকডাউন চলছে। সড়ক, ট্রেন, নৌযোগাযোগ বন্ধ।
ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুরি, রিকশা–বেবিট্যাক্সি চালক, রাইড শেয়ারার, ফুটপাতের হকার, ছোট দোকান বা রেস্তোরাঁ কর্মী, এসব শ্রেণী পেশার মানুষ হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকের ঢাকা শহরে থাকার জায়গাটুকুও নেই। টার্মিনাল, ফুটপাতে রাত কাটান। নিরাশ্রয় ও নিরুপায় হয়ে গেলেন তারা। ঢাকা শহরকে যানজচটর শহর হিসাবে জানি তবে করোনাতে সেই ঢাকা শহর এখন ফাঁকা। যারা আছে হোম কোয়রেন্টাইনে গৃহবন্দী আছেন।শুধু জরুরি প্রয়োজন হলেই কেবল ঘর থেকে কেউ কেউ বের হচ্ছেন।
সরকার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সহ টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। উক্ত সময় পরেও যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা অনুকূলে না আসে? মানুষ কত দিন গৃহবন্দী বা আটকে থাকবে বা কাজ বিহীন থাকবে। যারা দিনমজুর তাদের কি হবে? লকডাউন এর অর্থই হলো শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত সবকিছু বন্ধ থাকা। করোনা সংকটে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতি আরো ভেঙ্গে পড়বে । দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যে মধ্যে ঠেলে দেবে তাতে সন্দেহ নেই। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অপুষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে। রপ্তানি করা দেশ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে কিংবা যেসব দেশ থেকে শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে আসি আমরা, ওই রপ্তানি করতে না পারলে কল-কারখানাগুলো আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যাবে। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে নতুন করে বেকারত্ব বাড়বে। উৎপাদন ঠিকঠাক না হলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে।
স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের মধ্যে যে মানবিকতা কাজ করে, দুর্যোগ বা সংকটের সময় সেটি অনেকক্ষেত্রে লোপ পায়। মানুষ অন্যকে ঠকিয়ে নিজে জিততে বা লাভবান হতে চায়। আবার ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ কালে আমরা ভালো খারাপ উভয় চিত্রও দেখেছি। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অপরকে সহায়তা করেছে। আবার কেউ অন্যের সম্পত্তি লুটে নিতে ব্যস্ত ছিল। মুক্তিযোদ্ধাকে বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার কারণে অনেকে পাকিস্তানিদের হাতে নিগৃহীত এমনকি নিহত হয়েছিলেন। সিডোর, আইলা, ১৯৮৮ সালের বন্যা, নার্গিস ঘুর্ণিঝড়ের সময় ও নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল।
দুর্যোগের সময়ই সত্যিকার মানবিকতার পরীক্ষা হয়। এবার করোনাকালের শুরুতে একশ্রেণির ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস প্রভৃতির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওষুধেরও সংকট তৈরি হয়েছিল। এ সময় লক্ষণীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাকিয়ে না থেকে অনেক ব্যক্তি, সংগঠন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে ছাত্র-যুবকেরাও। এই সংকটকালে যখন দেখি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন, তখন আশা হারাই না। দুজন চিকিৎসক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন কোয়ারেন্টিনে আছেন।
অনেক সংগঠন নিজ উদ্যোগে হাতের গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি তৈরি করে দিচ্ছে। ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা, গত ১০ দিনে তারা ৩২ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠিয়েছেন। সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ। একইভাবে ছাত্রলীগ, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র সংহতি, যুব ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরাও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন। পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমেছেন বাসদের নেতা-কর্মীরা। বুয়েটের প্রকৌশলীরা চিকিৎসকদের পিপিই তৈরিতে সহায়তা করেছেন। চীনে পড়ুয়া এক বাংলাদেশি ছাত্র তাঁর বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে ১০০ রোগ নির্ণয় কিট কিনে দেশে পাঠিয়েছেন। এই সংবাদ আমাদের যেমন উজ্জীবিত করে, তেমনি তরুণদের প্রতি আস্থা বাড়ায়। এই তরুণেরা কখনো হারতে পারেন না। একই সঙ্গে প্রশ্ন আসে, আমরা কী করছি। কী করছেন বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা?
সাংসদ ও তারকা ক্রিকেটার মাশরাফি নিজের অর্থায়নে ১ হাজার ২০০ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সাংসদ আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এগিয়ে এলে লাখ লাখ দুস্থ ও গরিব পরিবার উপকৃত হবে। যখন শুনা যায় ঢাকার মিরপুর, জুরাইন ও সিলেটের বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক ঘোষণা দিয়েছেন, করোনার কারণে তাঁরা ভাড়াটেদের এক মাসের ভাড়া মওকুফ করে দেবেন, তখন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বহুগুনে বেড়ে যায়। বাড়ির মালিকেরা আগে কখনো এভাবে ভাড়া ছাড় দেননি। আশান্বিত যে ওষুধ কোম্পানিগুলো বাজারে ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঝুঁকি নিয়েও কারখানা খোলা রাখে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বল্প মূল্যে রোগ নির্ণয়ের কিট তৈরি করার উদ্যোগ ও সাহস নেয় তা সত্যিই অনুসরণীয়।
ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্রিকেটাররা গরিব মানুষদের সহায়তা তহবিল করে। দুস্থ শিল্পীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে শিল্পীসমাজও। যখন বাড়ির গৃহবধূরা, শিক্ষকেরা, ছোট দোকানদারেরা টেলিফোন করে জানতে চান তাঁরা শ্রমজীবী গরিব মানুষকে সহায়তা করতে চান, কোথায় কীভাবে করবেন, তখন মনে হয় এ সংকট কাটবেই। মানবিকতা,মানবাধিকার টিকে থাক সবসময় সবকালে। করোনা সংকট ও কেটে যাবে শুধু সবাইকে মানবিক আচরণ করতে শিখতে হবে। সরকার তথা রাষ্ট্রকে জনগণের মোলিক অধিকার নিশ্চিতে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে।
মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যের জায়গা কম। মানবাধিকারে তার চলাচলের অধিকার, জীবন ধারণের অধিকার, বিশ্বাসের অধিকার এবং চিকিৎসা ও খাদ্যের অধিকার থাকবে। এগুলোও মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র যে মৌলিক অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কখনও কখনও সেগুলোকে মানবাধিকার বলে স্বীকার করতে চায় না। কারণ,নাগরিক সেই অধিকার না পেলে রাষ্ট্র দিতে বাধ্য থাকে । কিন্তু নাগরিক অধিকার, জীবনধারন ও চিকিৎসার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া বড়ই জরুরী।
বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থাগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে না বা করতে পারছে না। না পারার পেছনে কারণ সমাজে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে, লুটপাটের অর্থনীতি বিকশিত হলে তখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশে প্রত্যাশিত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি তবে মানবাধিকার নেই এটি বলার সুযোগ নেই।মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যের জায়গা নির্দিষ্টই আছে, সেটি বিবেচনায় রাখা জরুরি।
মৌলিক অধিকার সংবিধান সম্মতভাবে নির্ধারিত। যেকোনও নাগরিকের সহজাত অধিকারগুলোকে মানবাধিকার বলা হয়।এর নির্দিষ্ট সীমারেখা করে দেওয়া হয়নি।উদাহরণত, আমি রাস্তায় চলাচলের অধিকার রাখি, যদি কেউ বলে আমি সে রাস্তায় যেতে পারবো না সেটা মানবাধিকার লঙ্ঘন কিন্তু এটি মৌলিক অধিকার নয়। একজন চাকরি পচ্ছে না, এটা মৌলিক অধিকার নয়। কিন্তু চাকরির যো্গ্য হয়েও না দেওয়া হলে এটি তার প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে তার মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
করোনা সংকটে দুমুঠো ভাত জুটলেই অনেকে খুশি হয় । মৌলিক অধিকার বা মানবাধিকার পেটে খিদে থাকলে পার্থক্য করার সময় থাকে না। এই লকডাউন চলাকালে করোনা মোকাবেলা ও সাথে সাথে নাগরিক সুবিধা, চিকিৎসা, খাদ্যের ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র বাধ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংসদ, মন্ত্রী বা রাজনৈতিক ভাবে লাভজনক পদে থাকা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি এই দুর্যোগকালে জনগণের পাশে থাকতে বলেছেন। যেমনটি ভোট প্রার্থনার সময় জনগনের দ্বারে দ্বারে নেতারা ঘুরেছেন।আশা করি জনগণের দুর্ভোগ কমাতে নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়বেন।
বিশ্ববাসী যেভাবে করোনা সংকটে সতর্ক ও মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঠিক আমাদেরকে একইভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।তাহলে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার কিছুটা হলেও রক্ষা করতে রাস্ট্র সক্ষম হবে। করোনা মোকাবেলায় জনগণের কাছে থেকে দুর্ভোগ লাঘবে সরকার, রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বা কোন ব্যবসায়ী যে ই চেষ্টা করবে আশা করি করোনা পরবর্তী সময়ে সরকার বা তার বা ওই মহৎ ব্যক্তির জনপ্রিয়তা বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং এই সংকট কালে মানবতা ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।
লেখকঃ কলামিষ্ট ও আইন বিশ্লেষক। ইমেইলঃ bdjdj1984du@gmail.com