টাঙ্গাইল জেলার ৩৬ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের টাইম স্কেল কর্তন করে ফেরত প্রদানের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে, টাইম স্কেল কর্তনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি এপিএস নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া নিজে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৩১ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস.এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটকারিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া গনমাধ্যমকে বলেন, রিটকারী টাঙ্গাইল জেলার ৩৬ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে জাতীয় পে-স্কেল ২০০৯ অনুসারে ৮, ১২ ও ১৫ বছর চাকরিকাল পূর্তিতে ১ম, ২য় ও ৩য় টাইমস্কেল প্রাপ্ত হয় এবং দীর্ঘদিন যাবত ওই সুবিধা ভোগ করে আসছেন। কিন্তু জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার টাইম স্কেল বাতিল করে উক্ত টাকা ফেরত প্রদানের জন্য অফিস আদেশ জারি করেন। ওই টাইম স্কেল কর্তন ও ফেরত প্রদানের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।