সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির প্রসারে বদলে গেছে চাকরির বাজারও। ফলে স্থায়ী (ফুল-টাইম) চাকরির বাইরে বেড়েছে অস্থায়ীভাবে (পার্ট-টাইম) কাজ করার সুযোগও।
মূলত শিক্ষার্থীরাই এসব পার্ট-টাইম চাকরি করে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোও ছোটোখাটো চাকরির জন্য ফুল-টাইম কর্মী নিয়োগ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাছাই করে থাকে। চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইটগুলোতেই পাবেন পার্ট-টাইম চাকরির বিজ্ঞপ্তি বা খবরাখবর।
আসুন জেনে নিই, কোন কোন কাজে পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ মেলে।
সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট
সুপারশপ থেকে শুরু করে ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট বা বিক্রয়কর্মীর চাকরির সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে এ পদের কর্মীর চাহিদা বাড়ে। তখন প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়তি লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাদের কাজ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি বাড়ানো। ভালো যোগাযোগ দক্ষতা ও সুন্দর বাচিক ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিকে বাছাই
কপিরাইটার
বিভিন্ন অ্যাড ফার্ম, মার্কেটিং ও পিআর এজেন্সি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র কপিরাইটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর জন্য আগ্রহীকে ভাষাগত দক্ষতা ও কম্পিউটারের কারিগরী জ্ঞান থাকতে হবে।
কল সেন্টার অ্যাসিস্ট্যান্ট
এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাস্টমারদের অনলাইন সেবা দিয়ে থাকে। তাদের এ কাজ করে দেয় মূলত কল সেন্টারগুলো। সেখানে অনেক জনবলের দরকার হয়। যোগাযোগ দক্ষতা, পরিশ্রম করার মানসিকতা ও ধৈর্যশক্তি থাকলে কল সেন্টারগুলোতে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারবেন।
ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার
আপনি হয়তো একাধিক ভাষায় দক্ষ, সেটিকেই কাজে লাগিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। দেশে অবস্থান করা অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলা ভাষা শিখতে চায়; বাংলার ওপর ভাষাগত দক্ষতা থাকলে সে সুযোগ আপনি নিতে পারেন। এ ছাড়া ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানিজ কিংবা চীনা- এসব বিদেশি ভাষার শেখার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে দেশে এখন। ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুরু করে বিদেশি কোম্পানিগুলোতে ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেইনার বা গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন।
টিউটর
বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং থেকে শুরু করে চাকরির জন্য পড়াশোনা বা কোচিং- এসব জায়গায় ক্লাস নিতে পারেন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন। এতে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট এবং অন্যান্য সাফল্য সহায়তা করবে।
ওয়েটার
রেস্টুরেন্ট ও কফি শপগুলোতে ওয়েটার হিসেবে পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কাস্টমারদের খাবার পরিবেশনায় মনোযোগ ও মানসিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন।
ট্যুর গাইড
দেশের মানুষের মধ্যে এখন ঘোরাঘুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি ঘুরতে পছন্দ করেন তাহলে অন্যদের ট্যুর গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন। দেশি বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এর জন্য।
ডেলিভারি ম্যান
এখন প্রায়ই প্রতিষ্ঠান অনলাইন কেনাকাটার সার্ভিস দিয়ে থাকে। কাস্টমারদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে লাগে ডেলিভারি বয়ের। এ ক্ষেত্রে আপনার সাইকেল বা মোটরবাইক চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।