বরিশাল ব্যুরোঃ কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কিংস থেকে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান সহ ৫ জুয়ারিকে আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। সোমবার রাত ১২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিপুর থানার এস আই আসাদুজ্জামান জুয়েলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। তবে এঘটনায় কুয়াকাটা পৌর ও জেলা ছাত্রলীগের দাবী এঘটনা পুলিশের একটি সাজানো নাটক তবে এঘটনায় নিন্দাও জানান। ছাত্রলীগ সভপতি মজিবর পুলিশের অভিযানের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মজিবরকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানান, কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কিংস থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান (২৯), মহিপুরের সামসুল হক মুন্সির ছেলে কলিম মাহামুদ (৩২), মহিপুুরের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে চিহ্নিত জুয়ারি রবিউল (২৭), মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের ইউসুফ আলী নায়েবের ছেলে অন্যতম জুয়ারি গোলাম মাওলা (৩০), ও দুমকির পাঙ্গাশিয়ার জালাল খানের ছেলে কুয়াকাটা বনানী প্যালেসের ম্যানেজার শাহিন খান (৩৫) কে নগদ ৫০৪০ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম সহ আটক করা হয়। এসময় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে ৪ পুলিশ সদস্যকে আহত করে করে বলে পুলিশের দাবী।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন মহিপুর থানার এস আই আসাদুজ্জামান জুয়েল, এস আই মনির হোসেন, কনেষ্টবল ইব্রাহিম, কনেষ্টবল নজরুল।
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক ভুইয়া জানান, এটি একটি ষড়যন্ত্র মুলক ঘটনা, তাদেরকে নিয়ে যাবার সময় পুলিশের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এসব ঘটনার আমি তিব্র নিন্দা জানাই।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও জুয়া আইনে একটি মামলা হয়েছে। আটককৃতদের কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।