চাকরি পেতে ইন্টারভিউতে একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সব প্রার্থীকেই। বেতন কত চান? এই প্রশ্নে ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেন না অনেকে। চাকরির পদ সম্পর্কে না বুঝেই বেতন চেয়ে ফেলেন। যার ফলে নিয়োগদাতাদের পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়তে হয়। অনেকে আবার কম অঙ্কের বেতন চেয়ে পরবর্তীতে আফসোস করেন।
এখন চাকরিতে কত বেতন চাইবেন, এর উত্তর কী হতে পারে- এ প্রসঙ্গে তিনটি দিকের কথা উল্লেখ করেছে পেস্কেল ডটকম।
কোনো উত্তর না দেয়া
আপনি কত বেতন আশা করেন? এর উত্তরে ভাল একটি কৌশল হচ্ছে কোনো উত্তর না দিয়ে বরং চাকরি সম্পর্কে আরও বেশি জানতে চান আপনি। ইন্টারভিউ বোর্ডে শুরুতেই বেতন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এতে আপনার প্রত্যাশা নিয়ে তারা একটা ধারণা নিয়ে ফেলেন।
আপনি তাদের বেতনসীমার মধ্যে যোগ্য কী না, শুরুতে সেটি বুঝে নিতে চান তারা। ফলে উত্তর দেয়ার আগে আপনি চাকরিতে অন্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিন। এতে আপনি বুঝে যাবেন, আপনার প্রত্যাশা অনুসারে বেতন পাবেন কী না।
অনেক সময় দেখা গেল, চাকরির পদানুসারে যে বেতন দেয়ার কথা তার চেয়েও কম বলে ফেলেছেন। ফলে উত্তর না দেয়াটাও বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে।
একটি সীমা উল্লেখ করতে পারেন
অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার কারণে কত বেতন আপনি পেতে পারেন, এ নিয়ে একটি ধারণা আপনার থাকতে পারে। সেদিক বিবেচনা করে আপনি একটি সীমার কথা বলতে পারেন, যেমন- ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার।
এমন একটি সীমা বলতে পারেন যাতে আপনি এবং নিয়োগদাতা দুইপক্ষের প্রত্যাশার মধ্যে একটি সামঞ্জস্য থাকে। তবে নিশ্চিত থাকেন যে, সর্বনিম্ন সীমাই পছন্দ করবে নিয়োগদাতারা। সেটি নিয়ে আপনি রাজি না থাকলে দর কষাকষি করে নিতে পারেন।
প্রয়োজনে একটি সংখ্যা বলতে পারেন
আপনি যদি কোনো সীমা উল্লেখ না করেন তাহলে একটি সংখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন, কত বেতন প্রত্যাশা করেন। কারণ, অনেক নিয়োগদাতাই নির্দিষ্ট করে আপনার কাছে উত্তরটা জানতে চান। এ ক্ষেত্র একটি সীমা মনে মনে কল্পনা করে মাঝামাঝি সংখ্যাটা বাছাই করুন, সেটিই জানিয়ে দিন তাদের।