অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন 1949 2(4) ধারায় বলা হয়েছে যে সমস্ত জমি / ভূমি কৃষিকার্যে ব্যবহৃত হয় না, কোনো উদ্যান বা কুষিকাজ ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে অকৃষি জমি বলে এবং উক্ত জমি 2(5) অনুযায়ী ,যে ব্যক্তি নির্দিষ্ট রেন্ট এর বিনিময়ে দখলে রাখে তাকে অকৃষি প্রজা বলে ।
একজন অকৃষি প্রজা 4 ধারা অনুযায়ী, 3 টি লক্ষে অকৃষি ভূমি দখলে রাখতে পারে।
1. বসতবাড়ি ও আবাসিক লক্ষে
2. শিল্পদ্রব্য উৎপাদন বা ব্যাবসায়ীক লক্ষে
3. ধর্মীয় বা অন্যান্য লক্ষে
অকৃষি প্রজার উচ্ছেদ
অকৃষি প্রজার উচ্ছেদ সংক্রান্ত সম্পর্কে অত্র আইনে 7,8,9,10 এবং 20 ধারাতে আলোচনা করা হয়েছে।
অত্র আইনের 8 ধারাতে বলা হয়েছে যে,
যদি কোনো অকৃষি প্রজা অকৃষি জমি 12 বংসরের অধিক কাল দখলে রাখে তাহলে উক্ত জমিতে তার প্রিমিয়াম ছাড়ায় ইজারা লাভের এমনকি চিরস্হায়ী ইজারা লাভের অধিকারী হয়। এমতাবস্থায় তাকে পূর্ব নোটিশ দিয়ে উচ্ছেদ করা যায় না। তাকে উচ্ছেদ করা যাবে তখন যখন সে ——
1. 4 ধারার উর্দেশ্যে লঙ্ঘন করে
2. 70 ধারার অধীন আদালতের ডিক্রীর মাধ্যমে
আবার অত্র আইনের 9 ধারায় বলা হয়েছে যে,1 বছরের কম নয় এবং 12 বছরের অধিক নয় এমন অকৃষি প্রজার উচ্ছেদ করা যাবে তখনই যখন তিনি—-
1. 4 ধারা লঙ্ঘন করলে
2. আদালতের ডিক্রী মোতাবেক
3. কোনো শর্ত থাকলে উক্ত শর্তভঙ্গের কারনে
4. 6 মাসের পূর্ব নোটিশ দিয়ে।
উক্ত 9 ধারার অধীন এ – কোনো অকৃষি প্রজা জমির উন্নয়ন করলে তার উন্নয়ন বাবদ খরচ প্রদান ব্যতীত উচ্ছেদ করা যাবে না। অর্থাৎ উন্নয়নের খরচ ডেপুটি কালেক্টর প্রদান করবেন, ডেপুটি কালেক্টরের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজের নিকট 30 দিনের মধ্যে আপিল করতে যাবে।
এছাড়্ অত্র আইনে 10 ধারায় বলা হয়েছে যদি কোনো অকৃষি প্রজা অকৃষি জমি ধর্মীয় উদ্দেশ্য ব্যবহারের করার কথা বলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করে কিনবা 3 বছর পর্যন্ত ব্যবহার না করে তাহলে তাকেও উচ্ছেদ করা যাবে।
অত্র আইনে অধীন প্রজার ক্ষেত্রেও 9 ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য। এভাবে অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইনে অকৃষি প্রজাকে উচ্ছেদ করা যায়।
আব্দুল্লাহ আল- মামুন
আইন বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।