পৃথিবীতে এমন অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী আছে যারা আধুনিক সভ্যতা থেকে পুরোপুরি পৃথক। ফলে এরা যখন বিশেষ ঘটনা বা পরিস্থিতিতে আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দেখা পায় তখন এগুলোর অভিনবত্ব ও অলৌকিকত্ব (তাদের দৃষ্টিতে) তাদের দৈনন্দিন জীবন, ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতিতে বিপুলাকারে প্রভাব বিস্তার করে। এভাবেই তৈরি হয় কার্গো কাল্ট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে চল্লিশের দশকে প্রচুর যুদ্ধবিমান এবং তাদের বাহিত কার্গো এবং সৌন্যদল বিশাল বহরে যুদ্ধের প্রয়োজনে হাজির হয়। এই ধরনের বিমান বহর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সেই অঞ্চলের আদিবাসীদের কাছে ছিলো সম্পূর্ণ নতুন এবং এই কারনে এই ধরনে প্রযুক্তি দ্বীপগুলোর বাসিন্দাদের কাছে অলৌকিক হিসেবেই দেখা দেয়। এতে ঐ অঞ্চলে এক নতুন ধর্মের আবির্ভাব ঘটে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও এই ধর্মের অনুসারীরা যুদ্ধবিমান, রানওয়ে এবং অন্যান্য স্থাপনার প্রতিলিপি তৈরি করে সেগুলোকে ঘিরে নানাধরনের আচারানুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকে।
©ইমতিয়াজ আহমেদ