সাদিয়া মাহমুদ তামান্না।
নারীরা যে সম অধিকার দাবি করেন তা ঠিক আমার বোধে আসে না! হয়তো আমি অবোধ না হয় নির্বোধ! নারীরা বাসে উঠে দাড়িয়ে থাকতে পারবে না তাকে বসতে দিতে হবে কারন সে নারী! আচ্ছা কখনো কি কোনো নারীকে দেখেছেন বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ উঠে তার জন্য নিজের সিট টা ছেড়ে দিতে? তখন সে সব নারী বাদিদের ভাষ্য হয় এ মা আমি কেন সিট ছাড়ব আমি তো নারী!
আবার ভারি বা ওজনের কোনো বস্তু হলে সে বলবে এটা আমি পারবো না! কারন সে নারী! এমন অনেক কিছু আছে যা নারীরা পারেন না,, না পারাটাও স্বাভাবিক। কারন আল্লাহ তাদের কোমল করে তৈরি করেছে আর পুরুষকে করেছে কঠোর! কোমলে কঠোরে মিলে জগৎ সংসার চলে! আমি নারী হয়ে নারী সুবিধা ভোগ করবো আবার পুরুষের সম অধিকার চাইবো এটা কেমন কথা! তবে কি এসব নারীবাদীরা তসলিমা নাসরিনের মত রাস্তায় দাড়িয়ে মূত্র বিসর্জন দেয়ার মত সম অধিকার চাচ্ছে! কিন্তু হায় তা কি আদৌ সম্ভব! আল্লাহ আমাদের মানে নারীদের কতই না সম্মান দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন!আমাদের কতই না মূল্যবান করে তৈরি করেছেন!
একজন মায়ের সম্মান একজন পিতার চেয়ে তিনগুন বেশি! আবার মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত! আল্লাহ নারীকে কঠিন কোনো দ্বায়িত্ব নারীকে দেন নি! নারীকে অনেক সম্মান দিয়েছেন সয়ং আল্লাহ! সম্পদ বন্টনের দিকেও নারী সুবিধাভোগি কারন সে বাবার বাড়ি ও স্বামী উভয়ের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন!জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নারী সুবিধাভোগি কারন তার উপার্জন হারাম হালাল তার হিসেব দিতে হবে না! সে শুধু মাত্র বিয়ের আগে তার বাবা, বড় ভাই এর কথা মত এবং বিয়ের পর তার স্বামী ও বড় ছেলে কথা ও ইসলাম অনুযায়ী চললেই হবে। কারন একজন নারীর অধিকাংশ পাপের হিসেব পুরুষের দিতে হবে!কারন নারী তাদের আমানত! সমান হতে চাচ্ছেন সেটাও দেখে নিন!এই বিশ্বভুবনে নারী বা পুরুষের কারোই একক অবদান নেই!যা আছে তা দুজনের সম্মিলিত।
বাচ্চা উৎপাদন থেকে শুরু করে ঘরে বাইরে সবকিছুতেই দুজনের অবদান সমান। পুরুষ যদি মনে করেন আমি উপার্জন করে টাকা স্ত্রী হাতে তুলে দিয়ে সব উদ্ধার করে ফেলছি তবে আপনি ভুল জগতে বাস করছেন! আপনাকে প্রতিদিন কাজের উপযোগী করে গড়ে তুলছে একজন নারী। আপনাকে গর্ভধারন ও করেছে একজন নারী!মায়ের পরে যে আপনাকে মায়ের মত ভালোবাসা দিচ্ছে সে আপনার বোন। যে আপনাকে মানসিক প্রশান্তি ও জৈবিক চাহিদা পুরন করছে সে আপনার স্ত্রী। যার চোখে আপনিই শ্রেষ্ঠ পুরুষ সে আপনার কন্যা। ওগো নারী আপনি এবার মহা খুশি ভাবছেন আপনিই তবে শ্রেষ্ঠ।
তবে আপনি ভুল ভাবছেন, আপনি মা হওয়ার যে সুখানুভূতি পাচ্ছেন তা পুরুষের জন্য, আপনি রান্না করে খাওয়াচ্ছেন তার সরবরাহ একজন পুরুষ করছে! বর্তমানে নারীরাও কাজ করছে তারপরও দ্বায়িত্ব কিন্তু সেই পুরুষের উপরই!সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ কারো উপর কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব দেন নি! একে অন্যের পরিপুরক হিসেবে তৈরি করেছে!