ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক একটি চমৎকার পরিপূরক সম্পর্ক। ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সম্পর্ক হাজার বছর ধরে চলে আসছে।ছাত্র -শিক্ষক সম্পর্ক আসলে কেমন হওয়া উচিৎ? সম্পর্ক হওয়া উচিৎ পাত্র ও পানির মতো। পাত্র ছাড়া যেমন পানি সংরক্ষণ সম্ভব না,তেমনি ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক ছাড়া জ্ঞানার্জন বিতরণ অসম্ভব। একজন শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পিছনে অনুপ্রেরণা জোগায়,স্বপ্ন দেখায়,ভিন্ন চোখে বিশ্ব দেখতে শেখায়,প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে।
ছাত্র জীবনে যতই বড় হোক না কেন শিক্ষককে ভক্তিভরে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হবে।জগৎ বিখ্যাত বীর আলেকজান্ডার তার শিক্ষক এরিস্টটলের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বলেছিলেন, “To my father, I own my life;to Aristotle, the knowledge to live worthy”.
পৃথিবীতে পিতামাতার সঙ্গে যেমন নাড়ির সম্পর্ক তেমনি শিক্ষকদের সাথে ছাত্রদের আত্মার। তাঁরা আমাদের আত্মবোধ গড়ে দেন।তাঁরাই আমাদের আত্মার আত্মীয়, আপনজন। জ্ঞানহীন মানুষ যদি পশুর সমান হয়,সেই মানুষের মনে প্রদীপ জ্বেলে প্রকৃত মানুষ করে গড়ে তোলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক।
পিতামাতা -সন্তানের সম্পর্কের মতো ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হতে হবে অনিন্দ্য সুন্দর। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হতে হবে অভিভাবকতুল্য ও বন্ধুসুলভ। শিক্ষকেরা প্রথমে অভিভাবক, তারপরে বন্ধু।ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক হওয়া উচিৎ ‘ফ্রেন্ডলি’ তবে ফ্রেন্ড নয়।শুধু শিক্ষা কিংবা জ্ঞানার্জন নয়,একজন ছাত্রের বিপদ -আপদ দুর্দিনে ছায়ার মতো পাশে দাঁড়ান একজন শিক্ষক। ছাত্র শিক্ষক সসম্পর্কের মধ্যে থাকতে হবে আশ্চর্য সেতুবন্ধন। যে বন্ধন কেবল পারস্পরিক স্নেহ,ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর বিশ্বাসের উপর গড়ে উঠে।ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক বড়ই মজবুত গাঁথুনির সম্পর্ক।
লেখকঃ এম এম তানভীর আল যুবাইর তামিম
শিক্ষার্থী, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ।
ইমেইল : tanvirtamim2001@gmail.com