আমাদের সবারই জানা যে, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আত্মহত্যা মহাপাপ। সব ধর্মেই এই আত্মহত্যা নিষিদ্ধ। পবিত্র ইসলাম ধর্মে এমনটা বলা হয়েছে যে যে ব্যক্তি আত্নহত্যা করলে, কেউ যেন তার জানাযাতে না যোগদান করে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, কতটা নিকৃষ্ট এই আত্নহত্যা। পরবর্তী জীবনেও(পরকালে) জান্নাতে যেতে পারবে না।
তাই আমরা সবাই আত্নহত্যাকে না বলি। এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে নিজেকে এবং অপরকে বিরত রাখি। সচেতনা বৃদ্ধি করি। সকলকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে বোঝাই। এই জীবন শুধু নিজের নয়। এই জীবনের উপর একটা পরিবার অনেক আশা করে থাকে। একটা জীবনের উপর রাষ্ট্রের অনেক চাওয়া ও অধিকার থাকে। তাই শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাতেই নিজের জীবনকে শেষ করে দেবার অধিকার নেই।
আত্মহত্যা কেন করে এবং আমাদের দায়িক্তহীনতা
আত্মহত্যা মহাপাপ এবং নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ যেনেও কেন মানুষ আত্নহত্যা করে? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা কতটুকুওবা সচেতন। একজন মানুষের জীবনে যখন কোন উপাই থাকেনা বলে সে মানুষটা জানতে পরে, নিজের কা্রচে অসহহায় মনে করে ঠিক তখনই আত্নহত্যা করে।
যখন একটা মানুষ আত্নহত্যা করে তখন আমরা অনেক বড় বড় ফতুয়া ছুড়ে দি যে, ওই মানুষটা আত্মহত্যা করেছে তাই তার জানাযা পড়ানো হারাম ইত্যাদি। কিন্তু কখনও কি তার ব্যাপারে খোজখবর নিয়েছি। যখন আমরা আমাদের চারপাশের মানুষকে অবিরাম ঠকাতে থাকি, সে ঠকানো যে কোনো প্রকারের হতে পারে, মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দি তখন কেউ তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয় না। এমনটা ভাবে না যে আমার এই ঠকানোর জন্য সে মানুষটা হয়তো ঠিকমতো বাজতে পারবে না, বিপদে পড়বে। ঠিক এসমস্ত মানুষের বিশ্বাসঘাতকতা ,ঠকানো, চারিপাশের পরিবেশের কারনেই মানুষ নিজেকে শেষ করে দেই
তাই আসুন আমরা আগে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ি, শপথ করি কখনও আমার দ্বারা কেউ বিন্দুমাত্র কষ্ট পাক। সবাইকে সহযোগীতা করি। জীবন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করি। সর্বোপরি ধর্মীয় বিষয়াবলী মেনে চলি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন
আইন বিভাগ , এলএলএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়া