ঈদুল আজহার বিরতির পরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ থাকা শিল্পকারখানা কোন পরিস্থিতি বিবেচনাতেই ৫ আগস্টের আগে খুলছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আগামী মাসের ৫ তারিখ পর্যন্তই লকডাউন চলবে। শিল্প-কলকারখানার মালিকরা অনুরোধ জানালেও তাদের অনুরোধ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও কোডিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম জোরদারকরণ‘বিষয়ে সভা’ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিকাদান কার্যক্রমও চলবে। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে লকডাউন চলছে এটা চলতেই থাকবে। আমাদের যে টার্গেট ৫ তারিখ পর্যন্ত সেই ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা এবং আরও অনেকে রিকোয়েস্ট করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট বোধ হয় গ্রহণ করতে পারছি না।
জুলাই মাসের ১৫ তারিখে ঈদের পরে লকডাউনের ঘোষণার পর থেকেই পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএসহ আরো পাঁচটি প্রতিষ্ঠান মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সাথে দেখা করে কারখানা খোলা রাখার আবেদন জানায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে। ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধে সে আবেদন রাখা হয়নি। এরপরও পোশাক মালিকরা আশা করছিলেন সরকার পয়লা আগস্ট থেকে কারখানা খুলে দিবে এমন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তারা। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সে আশাও প্রতিফলন হল না।
এরই মধ্যে দেশে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সোমবার দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ডের একদিন পরে গতকালই আবার মৃত্যুর নতুন রেকর্ড ২৫৮ জন মারা যায়। এমতাবস্থায় কারখানা খুলে দিলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কারখানামুখী হওয়ার যে বিশাল চাপ পড়বে তাতে করোনা পরিস্থিতি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বিধায় লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে খুলছে না কারখানা বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
লকডাউনের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের করোনা টিকা প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে পোশাক মালিকরা। টিকা প্রদানের পরে পুরো উদ্যমে আবার কারখানা চালু করার আশা পোশাক মালিকদের।