জনাব আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বিচারক হিসেবে ৯ বছর দ্বায়িত্ব পালন করার পর স্বেচ্ছায় বিচার বিভাগ হতে আইন পেশায় এসছেন জেরার মাধ্যমে নিরপরাধ কিছু মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় সেশনস মামলায় জেরা করে থাকেন। আইন ও আইনজীবী সমন্ধে তিনি যেমন উদার তেমনি আইনের সেবা সকল অসহায় বা যাদের আইনের আশ্রয় দরকার তাদের পাশে থেকে সর্বদা আইনকে সাধারনের জন্য সহজলভ্য করতে ভূমিকা রাখছেন। তার সাথে ব্যাক্তিগতভাবে এপিএসনিউজ২৪.কম এর হয়ে কিছু আলাপ চারিতার সুযোগ হয়। তার সাথে এই আলাপচারিতায় অনেক নতুন চিন্তার সাথে পরিচয় ঘটে। আলাপচারিতায় ছিলেন এপিএস নিউজ২৪ এর পক্ষে নূরুন্নবী সবুজ ।
প্রশ্নঃ আপনি তো বিচারক ছিলেন , তারপরও আইন পেশায় কেন আসলেন?
আজিজুর রহমান দুলুঃ মূল কারন বাংলাদেশে বাংলদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ১৯৭২ নামে একটি আইন প্রচলিত আছে। এই আইনের 65A ধারায় একটি বিধান আছে যার অধীনে কোন ব্যাক্তি অধস্তন আদালতে ১০ বছর চাকুরী করলে তিনি শুধুমাত্র মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে প্রাকটিশ করতে পারবেন। আমি আমার বিচারক হবার পূর্বে ৪ বছর এবং বিচারক থাকা কালীন ৯ বছর একটি বিষয় উপলব্দি করেছি আমাদের দেশে ট্রায়াল আইনজীবীর সংখ্যা খুবই কম। দীর্ঘদিন বিষয়টি আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি থাকলেও ২০১৭ সালের 37 BLD (HCD) 37 এ একটি মামলার রায় রিপোর্টেড হয় । মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারক মি. জাস্টিস মোয়াজ্জেম হোসেন একটি রায়ে এটি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন আমাদের দেশে ট্রায়াল আইনজীবীর অভাব/শঙ্কট আছে। আমার নিজেরও জেরা করতে খুব ভালো লাগে। আর ট্র্রায়াল আইনজীবীর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উপলদ্ধি করে আইনজীবী হিসেবে অধস্তন আদালতে প্রবেশাধিকার ধরে রাখার জন্য ৯ বছরের মধ্যে বিচারবিভাগ থেকে স্বেচ্ছায় আইন পেশায় ফিরে আসি। আর একটা কারণ হলো বরিশালে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসাবে চাকুরী করার সময় শের –ঈ- বাংলা এ কে ফজলূল হক এর বাড়ী যা এখন জাদুঘর পরিদর্শনের সময় তার জীবনের সরকারি চাকুরী ও আইন পেশায় ফেরার ঘটনা আমাকে নারা দেয় আমার জীবনে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীর ভূমিকা কি?
আজিজুর রহমান দুলুঃ শুধু বাংলাদেশে নয় বরং সারা বিশ্বে বিচারকের ভূমিকা যদি ৫০% ভাগ ধরা হয় তাহলে বাকী ৫০% ভাগ হবে আইনজীবীর ভুমিকা। উদাহরণের সাহায্যে বলা যায় কোন মুদ্রার যদি এপিট এবং ওপিট ঠিক থাকে তবেই তা বাজারে চলে। তেমনি আইনজীবী ও বিচারেকের সম-ভূমিকা বাংলাদেশেও বিদ্যমান। বাংলাদেশে 30 BLD (AD) 01 রিপোর্টেড মামলায় একজন আইনজীবীর ভূমিকা ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বলা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ~A lawyer is an officer of the court” আবার বলা হয়েছে, `A lawyer is the priest in the temple of the justice’ এই রায়েই আরো বলা হয়, “A lawyer is an equal partner with the judge in the administration of justice” সুতরাং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় একজন বিচারক ও আইনজীবীর ভূমিকা সমান।
প্রশ্নঃ অনেকেই দাবী করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা মজবুত করতে পিপি বা এপিপি জুডিশায়ীর মাধ্যমে নিয়োগ দিতে, বিশেষ করে যারা ভাইভা থেকে বাদ পড়ে তাদের জন্য যদি এই ব্যাবস্থা করা যায় । এই দাবীর পক্ষে/বিপক্ষে আপনার মন্তব্য কি?
আজিজুর রহমান দুলুঃ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ৩ বছর আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিশ করার পার বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেতে পরীক্ষা দেবার জন্য যোগ্য গণ্য করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিচারক নিয়োগে বিশেষ গলদ আছে। আবার সে দেশে রেগুলার প্রমোশন হয় ৫০% আর ২৫% জাম্প প্রমোশন হয়। আবার আরও ২৫% নিয়োগ হয় ১০ বছর প্র্যাকটিস এর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আইনজীবীদের মধ্য হতে। তাদের কে অবশ্যই একই ধরনের পরিক্ষা দিতে হয়। এই জাম্প প্রমোশনের মাধ্যমে কারো যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ হতে পারেন। বাকী ২৫% যাদের আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিশের বয়স ১০ বছর হয়েছে তারাও সরাসরি পরীক্ষা দিয়ে যুগ্ম জেলা জজ হতে পারেন। এই পেশা ব্যাবহারিক জ্ঞানের উপর নির্ভর করে বলে অভিজ্ঞতার যতেষ্ট মূল্য আছে। অনেকে বিজেএস পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে পারলেও নির্র্দষ্ট সংখ্যায় পেীছাতে পারেন নি তাদের কে পিপি বা এপিপি হিসেবে নিয়োগ দিলে স্বাভাবিক ভাবে ভালো মনে হতে পারে কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতার অভাব থাকায় এটি খুব বেশী কার্যকর নাও হতে পারে। এই ব্যবস্থার পক্ষে যারা বলেন তাদের আরো বিষয়টির গভীরতা নিয়ে জানতে হবে। শুধু মাত্র মেধাই এই পেশায় সব নয় অভিজ্ঞতারও যতেষ্ট গুরুত্ব আছে।
প্রশ্নঃ তার মানে আমরা বলতে পারি আমাদের প্রচলিত বিচারক নিয়োগ পদ্ধাতিরও পরিবর্তন দরকার?
আজিজুর রহমান দুলুঃ হ্যা, অবশ্যাই। এই বিষয়ে উল্লেখ্য যে সাবেক চিফ জাস্টিস মি. খাইরুল হক একটি আইন করেছিলেন সর্বনিম্ন দুই বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে এনরোল ও প্রাকটিশ করার পর বিচারক হবার যোগ্য হওয়া যাবে। পরবর্ততে এটি বাতিল হলেও সেটি একটি যুগোপযুগী সিদ্ধান্ত ছিলো।
প্রশ্নঃ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির প্রতি মানুষের আস্তা কেমন বাংলাদেশে এই পদ্ধতির ভবিষ্যত কি?
আজিজুর রহমান দুলুঃ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির সাথে আর একটি বিষয় জড়িয়ে আছে আর তা হলো আরবিট্রেশন। এই দুটোই প্রায় সমার্থক বিষয়। দুটোই মূলত আদালত বহিভূতভাবে মানুষের বিরোধকে মিমাংসা করে এই অর্থে তারা এক। ইন্ডিয়ার কোচিন শহরের আরিব্রিট্রেশন ইনস্টিটিউট থেকে আমি এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। প্রশিক্ষন গ্রহণের সময় এবং বাংলাদেশে আশার পর বিশেষ করে মেডিয়েশনের ক্ষেত্রে আমার কাছে যা প্রতিয়মান হয়েছে এই ব্যবস্থার প্রতি সচেতনতা আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সে ভাবে গড়ে উঠে নাই। গ্রামে এখনো মানুষ তাদের সমস্যাগুলো গ্রাম্য সালিশে নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামের এই সালিশ ব্যবস্থায় কিছু দূর্নীতি ঢুকে গেছে যেমন গ্রামের কিছু মাতাব্বর ও টাউট শ্রেণীর লোক শালিস করতে গিয়ে সালিশের খরচ পক্ষদের নিকট থেকে আদায় করেন । এতে পক্ষপাত দুষ্টতার ঘটনাও ঘটে থাকে।
বাংলাদেশে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির এখনো দরকার আছে তবে যারা মেডিয়েটর হিসেবে কাজ করবে তাদের আরো সৎ ও স্বচ্ছ হতে হবে । এর বাইরেও সচেতনার গুরুত্বও কম নয়।
প্রশ্নঃ গ্রাম আদালত বাংলাদেশে কতটুকু কার্যকর ?
আজিজুর রহমান দুলুঃ গ্রাম আদালত আইনে যেটুকু বলা আছে সেটুকু পুরাটাই কার্যকর ।আপনার প্রশ্নের উত্তর হয়ত এরকম যে গ্রাম আদালতে যে ভূমিকা নেয়া দরকার সেভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে কি না। গ্রাম আদলত যেহেতু খুব সহজেই মেডিয়েশনের কাজ করতে পারে তাই এর ভূমিকা অনেক।
হবিগঞ্জের আজমীরি গঞ্জে একটা চেীকি আদালত ছিলো। সেখানে আমি সিনিয়র জুডিশীয়াল মেজিষ্ট্রেট হিসেবে কাজ করার সময় উক্ত উপজেলার ৫/৬ টা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানেকে ডেকে গ্রাম আদালত ও তাদের দ্বায়িত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে বলি ।এরপর যে সব মামলা গ্রাম আদালতে চলতে পারে তা সেখানে হস্তান্তর করি। তারপর আমার অধীন( প্রিজাইডিং আদালত)-এর অধীন তারা গ্রাম আদালতের কাজ সঠিক ভাবে চালালেন ও আমি আমার আদালতের মামলা পরিচালনা করতে থাকলাম। ১ বছর পর দেখা গেল আজমীরিগঞ্জ চেীকি আদালেতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা হলো মাত্র ৬(ছয়) টি। জিআর ফাইল বা পুলিশ ফাইলে মামলা দাড়ালো ১৫/২০ টি। এখান থেকে খুব সহজেই বলতে পারি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং আদালত যদি গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সহযোগিতার সাথে কাজ করে তাহলে মামলার যে আধিক্য তা কমে যাবে।
প্রশ্নঃ আইন সবার জন্য সমান কথাটা কতটুকু সমর্থন যোগ্য ?
আজিজুর রহমান দুলুঃ অবশ্যই, আইন সবার জন্য সমান । সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদেও এই কথাটি বলা আছে। তবে স্বাভাবিক ভাবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম আইনের প্রয়োগ দেখে মনে হতে পারে আইন সবার জন্য সমান কি না? এটি বুঝার জন্য আমাদের আইনে সমতার দুটো মতবাদ জানতে হবে। একটি আমেরিকান মতাবাদ যা ডিউ প্রসেস অব ল অন্যটি ব্রিটিশ মতবাদ ।
ধরেন আপনার গ্রামে ১০০ জন লোক কর্মহীন তাদের আপনি খাবার বিতরণ করছেন। আপনি সবাইকে সম পরিমাণ খাদ্য বিতরণ করলেন। এটি সাধারণ দৃষ্টিতে মান বলে মনে হতে পারে। সবার খাদ্য চাহিদা যেহেতু এক না বা একজনের রুচি বা খাদ্যাভাসের দিকে দেখেন তাহলে দেখবেন একজনের একেক ধরণের ও ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ খাবার প্রয়োজন। আপনি যখন সবার প্রয়োজনও রুচি অভ্যাস অনুযায়ী খাবার দিবেন সেটাও একধরণের ইকুয়ালিটি। আর এমন কাজ করা হয় সাধারণত ইকুইটি অনুসারে। আর তাই আইন সবার জন্য সমান এটি সাধারণ ভাবে দেখলে হবে না। এর সাথে ইকুইটি ও ইকুয়ালিটি জড়িত । আর এভাবেই আইন সবার জন্য সমান। এই বিষয়ে একটি উক্তি আছে, Equality between and among unequal brings in equality.
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন আইনজীবি হিসেবে আপনার অভিজ্ঞতা কি বলে?
আজিজুর রহমান দুলুঃ বিচার বিভাগ স্বাধীন এটা বিভিন্ন আইনের আঙ্গিকে দেখতে হবে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেখলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সর্বশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে মাসদার হোসেন মামলার মাধ্যমে। এই মামলার রায়ে একটি দিক আলোচিত হয় নাই । হয় ত বা সে সময় এ দিকটি তখন সে ভাবে উপস্থাপিতই হয় নাই। মাসদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে শুধুমাত্র বিচারকদের স্যালারি, কর্মের মেয়াদ, বিচারকদের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা এসকল কথা বলা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে মহামান্য আপিল বিভাগ কতৃক এই রায়টি দেয়া হয়।
আপনি যদি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে দেখেন তাহলে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে সেভাবে স্বাধীন বলা যাবে না।২০১২ সালের ১৩-ই অগাষ্ট জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে । এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে করা হয় ; যার নাম “ The indemnity of the judges and the lawyers.” বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য বিচারকদের ন্যায় আইনজীবীদেরও স্বাধীন করতে হবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আইনজীবীরা তো এমনিতেই স্বাধীন । কিন্তু না আইনজীবীরা স্বাধীন না। বিচারকের মত আইনজীবীর নিরাপত্তা দিলে আইনজীবীর কাজের স্বাধীনতা বাড়বে।
প্রশ্নঃ মামলা জট নিরসনে আপনার পরামর্শ ?
আজিজুর রহমান দুলুঃ মামলা জট নিরসনে আমার পরামর্শ খুব পরিস্কার আর তা হলো যে আমাদের দেশের বিচারকরা বিশেষ করে ক্রিমিনাল আদালত পরিচালনাকারী যে বিচারকগণ আছেন আরো বিশেষ ভাবে উল্লেখ করলে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটগণ ওয়ান সাইডেড বিচারের ডাইমেনশন পালন করে থাকে। যেমন আমরা মামলার তথ্য প্রমাণ না পেলে বা অপরাধ প্রমাণ না হলে অভিযুক্তকে খালাস দেই। এর বাইরেও একটা সাইড আছে ।কোন মামলা যদি ফলস বা ভুল প্রমাণ হয় যে বাদী হয়রানী করার জন্য মামলা করেছে তাকে আমরা শাস্তি দেই না। বাদীকে জেল দেয়া মামলার অপর সাইট। গ্রামে একটা প্রবাদ আছে “ সদরে যখন এসেছি চাচার নামে একটা মামলা করে যাই।” আমাদের দেশে যদি দুই সাইট কার্যকর করা যায় তাহলে অনেক হয়রানী মূলক ও মিথ্যা মামলা কমে যাবে।
মামলা জট কমাতে আমার পরামর্শগুলোর মধ্যে আছে,
১. মামলা জট কমানোর জন্য ক্যাটাগরিক্যালি যে কাজটা করতে হবে তা হলো মামলার প্রাথমিক স্থর থেকে কাজ করতে হবে। গ্রাম আদালতকে বিচার বিভাগের সহিত নিজের মত করে নিয়ে তাকে ট্রেনিং দিয়ে তার যে এপিলেট কোর্ট ( জুডিশীয়ারীর আদালত) তার মধ্যমে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলে গ্রাম আদালতে মাধ্যমে অনেক মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে।
২. আমাদের বিচরকদের Not one sided but two sided বিচার করতে হবে।মামলার শেষে যদি দেখা যায় বাদী ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলা করেছে তাহলে তাদের শাস্তি দিতে হবে।
৩. আমাদের দেশে বিচার শুধু করা নয় বরং সো করতে হবে। বিচার কাজগুলো মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে যাতে অন্যরা সচেতন হতে পারে।
এই কাজগুলো পাশাপশি অপরাধ যেন কম হয় তার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রযুক্তিগত সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।সেটি বিচার বিভাগ সহ আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজেও হতে পারে। এই কাজগুলো আমাদের মামলা জট কমাতে যতেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
এপিএস নিউজ এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ। আপনাকে ও ধন্যবাদ।