আহত সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া (৩৯) ও নূরালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব আবুল কালাম (৩০) নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানান, রমণী কমিউনিটি সেন্টারে আগামী ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে বুধবার বিকালে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়রের মোশারফ হোসেন মানিক সভাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিতিতে সভা চলছে। মিটিং চলাকালে মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোশারাফ হোসেন মানিক ব্যানারে তার নাম না থাকায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের গালি-গালাজ করে চলে আসেন।
এদিকে, মেয়র ও তার সমর্থকরা চলে যাওয়ার সময় মাধবদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা মেয়র সমর্থকদের কটূক্তি করেন। এনিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে মাধবদী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তার ভাই পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া ও তাদের সমর্থকরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌরসভা সংলগ্ন রাধুনী রেস্টুরেন্টের সামনে আসলে তারা মেয়র সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
জেলা আলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, বর্তমান পৌরমেয়র মানিকের নেতৃত্বে তাদের ওপর গুলি করাসহ অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে পৌরমেয়র মোশরফ হোসেন মানিক এর সাথে মোঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সভাস্থল থেকে এসে পৌরসভায় অবস্থান করার সময় সভা শেষ করে ফেরার পথে সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়ার নেতৃত্বে ১০/১৫ জন লোক পৌরসভার নিচে আমার লোকজনকে লক্ষ করে গুলি ছোঁড়ে। এতে বেস কয়েকজন আহত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্তের পর আহতের সঠিক সংখ্যা বলা যাবে।