স্টাফ রিপোর্টারঃ
শাম্মী আক্তার তন্নী (বেলা)। কুষ্টিয়ার মেয়ে। তাকে আমরা হয়তো কমবেশি অনেকেই চিনি। তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে কুষ্টিয়া সদরে থাকেন। তার বাবা পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী আর মা গৃহিণী। তিনি একসময় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। তিনি পেশায় একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী হলেও বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত রয়েছেন। একাধারে তিনি একজন বিতার্কিক, আর্টিস্ট, কবিতা আবৃত্তিকার, বক্তা, উপস্থাপিকা,লেখক ও একজন উদ্যোক্তা।পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিজেকে ব্যস্ত করে নিয়েছেন বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের সাথে।ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতেন তিনি।জেলা পর্যায়ে তার একাধিক পুরস্কারও রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় পত্রিকায় (টুকটুকির প্রিয় রিশ) তাঁর এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন হ্যান্ড পেইন্টিং এর বিভিন্নরকম আইটেম নিয়ে। কুষ্টিয়া সহ সারা বাংলাদেশের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তার হাতের অসাধারণ কারুকাজের পান্জাবী, শাড়ীসহ বিভিন্ন আইটেম এর যা আমরা বেলা’স শপিং নামক ফেসবুক আইডিতে ঢুকলেই দেখতে পারবো।
তার জীবনের হার না মানার গল্প বলার সময় তিনি আমাদেরকে জানান, ছোট বেলা থেকেই সবকিছুতে তিনি একটু একটু চেষ্টা করতেন কিন্তু একজন উদ্যোক্তা হওয়ার কথা তিনি কখনই ভাবেননি। তিনি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে হওয়ায় অনেক আদরের তার কষ্ট হবে বলে এবং পড়াশুনার ক্ষতি হবে ভেবে তার বাবা-মা অন্যান্য সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করলেও এই উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে একদমই মাথা নাড়া দেননি। সে সময় তিনি শুধু পাশে পেয়েছিলেন তার চাচাতো বোন (রিয়ানা আহমেদ লাকী)কে কিন্তু আস্তে আস্তে কুষ্টিয়াসহ সারা বাংলাদেশের মধ্যে তার এই কাজের সাড়া পেতে দেখে এখন তার বাবা মা তাকে উৎসাহিত করছেন। তিনি আরও জানিয়েন, একটা সময় বেলা’স শপিং নামক আলাদা একটা ব্রান্ড তৈরী করতে চান তিনি।
এছাড়াও এ পর্যন্ত তিনি তার জীবনে যে কাজগুলো তে সফল হয়েছেন সেগুলোর জন্য ছিল আল্লাহর রহমত আর তার মা-বাবা এবং দিদি ভাইয়ের অনুপেরণা। তিনি তার অদম্য প্রতিভা,অক্লান্ত পরিশ্রম আর চেষ্টা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মেয়েরা কোন কিছুতেই আর পিছিয়ে নেই ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন সবকিছুতেই পারদর্শী। চেষ্টা করলে সব কিছুতেই সফল হওয়া যায়। তিনি ভবিষ্যতে ভালোএকটা চাকরীর পাশাপাশি তার এই উদ্যোগকে টিকিয়ে রাখতে চান পাশে দাঁড়াতে চান বিভিন্ন অসহায় মানুষদের।