মোঃমিশন আলী ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
গতবছর ৮ মার্চ যখন সর্ব প্রথম বাংলাদেশে করোনা রোগি সনাক্ত হলো তার আগে থেকেই মর্নিংবেল চিল্ড্রেন একাডেমি করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে হাটে -ঘাটে পথে-প্রান্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারনা করে। ১৭ মার্চ থেকে সারধারণ ছুটি ঘোষণা হবার পর ২৫ মার্চ থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা কর্মসুচি গ্রহণ করে। সেই সময় প্রায় ৫০০ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহাযতা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেই সময় রমজান মাসে ইফতার সামগ্রী, ঈদ বস্ত্র প্রদান ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগে দু দফায় প্রায় ৪০ হাজার টাকার নিরাপত্ত সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঝিনাইদহ পায়রা চত্ত্বর সংলগ্ন মুন্সী মার্কেটের প্রবেশ দ্বারে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কারিগরি সহযোগিতায় ২২ হাজার টাকা ব্যয় করে জীবাণুনাশক ট্যানেল নির্মাণ করা হয়। আর মাস্ক বিতরণ ছিল প্রায় তখন প্রতিদিনের কর্মসুচি।
করোনার কারনে বছরব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্কুলটি যখন টিকে না থাকার ঝুকিতে ঠিক সেই মূহুর্তে করোনার দ্বিতীয় আঘাত। তদুপরিও থেমে নেই বিদ্যালয়টির মানবিক উদ্যোগ। এবছর মধ্য মার্চ থেকে যখন আবারো করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকল ঠিক তখন থেকেই প্রায় প্রতিদিন শহরে নানান পাড়া মহল্লায় সচেতনতামূলক প্রচারনা ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। রমজান মাসের শুরুতে প্রথম দফায় কঠোর লকডাউনের পর থেকে মর্নিংবেল চিল্ড্রেন একাডেমির পক্ষ থেকে ইফতার সামগীসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং রমজান মাসব্যাপী চলমান থাকবে।
এ বিষয় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাহীনূর আলম লিটন বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় নিদারুন অর্থ কষ্টে আছি। তারপরও মানবিক কারনে ও সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই কর্মহীন অনাহারী মানুষগুলোর পাশে সাধ্যমতো থাকার চেষ্টা করছি। কারন আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। প্রাণের শহরটাকে ভালো রাখতে চাই।