প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া দুই নেতা সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।
শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ–ভারত শীর্ষ বৈঠক হয়। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকগুলো সই এবং প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হয়।
বৈঠকে যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয় সেগুলো হলো দুর্যোগ দমনে সহযোগিতা, ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে অশুল্ক বাধা দূরের পদক্ষেপ, দুই দেশের জাতীয় ক্যাডেট কোরের মধ্যে সহযোগিতা বিনিময়, তথ্য যোগাযোগ ও রাজশাহীতে খেলার মাঠ বিষয়ে দুই প্রকল্প বাস্তবায়ন।
এছাড়া মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত স্বাধীনতা সড়ক, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসমাধি, ভারতের উপহার ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স, চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল, শিলাইদহের সংস্কারকৃত কুঠিবাড়ি, দুটি সীমান্ত হাট উদ্বোধন এবং স্মারক ডাকটিকিটের মোড়ক উন্মোচন করা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে অংশ নিতে বিকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে কার্যালয়ের টাইগার গেটে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
প্রথমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠকে বসেন। এরপর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে যোগ দিতে শুক্রবার মোদি ঢাকায় আসেন। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শনিবার তিনি যান সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে।
জেলা দুটির দুটি মন্দিরে প্রার্থনা ও স্থানীয়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতীয় সরকার প্রধান। এরপর তিনি ফেরেন ঢাকায়। রাতেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে ভারতের সরকারপ্রধানের।