আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। আমার বাংলাদেশ যখন ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে; ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে একটি উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে বিশ্বমণ্ডলে পরিচিত হতে চাচ্ছে। তখন সময় এসেছে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকাটাকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়তে নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও করণীয় সম্পর্কে জানার ও সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার।
বাংলাদেশের উন্নয়নের এই যাত্রায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত কুয়াকাটার তরুণ সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। কুয়াকাটা বাংলাদেশের একমাত্র স্থান যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। কুয়াকাটাকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার কুয়াকাটার তরুণ সমাজকে তার অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা গড়ে তুলেছি আমাদের ‘স্বপ্নচূড়া’।
‘স্বপ্নচূড়া কুয়াকাটা – ভিশন ২০৩০’
হে তরুণ তুমি প্রস্তুত হও, কারণ তুমিই বাংলাদেশ। তোমার উদ্ভাবনী ও উদ্যোগী নেতৃত্বেই আমরা উন্নত বাংলাদেশ হব।
স্বপ্নচূড়া@আগামীর প্রয়োজনে আমরা
মূলনীতিঃ শিক্ষা, সেবা, উন্নয়ন ও সবুজ পর্যটন।
Education, Services, Development & Green Tourism
স্বপ্নচূড়ার লক্ষ্যঃ কুয়াকাটা পৌরসভার আর্থ-সামাজিক অবস্থার কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনের জন্য টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আত্ননির্ভরশীল সুখী-সমৃদ্ধিশালী ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করা। বিশেষ করে সমাজের অনগ্রসর নারী-পুরুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন, শিক্ষাবান্ধব কুয়াকাটা বিনির্মাণ এবং তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলে কুয়াকাটাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করা; আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
সংগঠনের ধরনঃ স্বপ্নচূড়া একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন মুলক, শিক্ষা- সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছায় মানব সেবামূলক সংগঠন। এই সংগঠন কুয়াকাটা পৌরসভার শিক্ষিত তরুণ সমাজ নিয়ে গঠিত হবে এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ভিশন – ২০৩০ সালকে সামনে রেখে আমরা আমাদের সংগঠনকে সম্পূর্ন স্বচ্ছ, বিশ্বস্ত এবং সক্রিয় সংস্থা হিসেবে গঠন করে প্রত্যক্ষভাবে কুয়াকাটা পৌরসভার সর্বস্তরের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন সাধনের জন্য কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।
ভিশন – ২০৩০
(Education, Service, Social Development & Green Tourism)
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১. সৎ, দক্ষ ও জনবান্ধব স্হানীয় নেতৃত্বের প্রতি অগাধ আস্হা ও বিশ্বাস অর্জনে সবাইকে সচেষ্ট করা ও এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য দলমত নির্বিশেষে মিলেমিশে কাজ করা এবং সবার আগে কুয়াকাটার স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া।
২. পর্যটন কেন্দ্রীক কুয়াকাটা পৌরসভাকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্ররুপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ট্যুরিজম সেবার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা।
৩. সবুজ পর্যটন অর্থাৎ পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
৪. কুয়াকাটা পৌরসভার দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্য লোকসংখ্যার অবসান ঘটিয়ে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা।
৫. সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবনমুখী কারিগরি শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করা। ২০৩০ সালের মধ্যে কুয়াকাটা পৌরসভার মোট জনগোষ্ঠীর শতভাগ স্বাক্ষরতার হার নিশ্চিত করা।
৬. নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নারী মেধাবৃত্তি চালু করা।
৭. বিভিন্ন গুণগত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা।
৮. মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও রাহাজানি মুক্ত কুয়াকাটা পৌরসভা গড়ে তোলা।
৯. সমাজের অনগ্রসর মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উন্নত মানের ও সহজলভ্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা।
১০. ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসার।
১১. সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ, উৎপাদনশীল এবং যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
১২. দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি কিংবা স্বকর্মস্থানে নিয়োজিত করা।
১৩. ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জেলেদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করা।
১৪. মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা।
১৫. জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৬. এলাকার অসহায় প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
১৭. সমাজের প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
১৮. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আন্তঃসম্প্রদায় সম্প্রীতি সমৃদ্ধ করা।
১৯. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের সকল অধিকার নিশ্চিত করা।
২০. প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা সহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও দাতা সংস্থার সহিত সহযোগিতা করা।
সর্বোপরি, মানবিক ও সুখী-সমৃদ্ধ কুয়াকাটা গড়ার লক্ষ্যে সকল ভাল কাজের সাথে থাকা এবং ভাল কাজ বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে কুয়াকাটা পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করা।
আগামী ২৬ মার্চ, ২০২১ তারিখে
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের সূবর্ণ জয়ন্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘স্বপ্নচূড়া’।