মানুষকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল। বাংলাদেশ নামে একটি দেশ গড়ার স্বপ্ন এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আপসহীন ছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। এ দেশের মানুষের জন্য নিজের ব্যক্তিজীবনের সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছিলেন। আজ বিশ্ব যখন নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন তাঁর এ অন্তর্গত শক্তিমত্তা মানুষকে পথ দেখাতে পারে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বক্তব্যের সারবস্তু ছিল এমনই। রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘মুজিব চিরন্তন’ শিরোনামে ১০ দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় গতকাল বুধবার বিকেলে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে সশরীর যোগ দেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ভিডিও বার্তা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক স্যার মার্ক টালি।
করোনা মহামারিতে পুরো পৃথিবী যখন লন্ডভন্ড, এমন দুর্বিষহ সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পাথেয় করে চলার কথা বলেছেন এই বিশ্বনেতারা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রার সারথি হওয়ার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান যেভাবে শুরু
‘ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়’ ছিল গতকাল প্রথম দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য। শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মুখে মাস্ক পরে শিশুরা ‘আমি জাতির পিতার স্বপ্নের দেশে জন্ম নিয়েছি’ গানটি দিয়ে শেষ করে তাদের পরিবেশনা। এ সময় মঞ্চের পটভূমিতে ডিজিটাল পর্দায় দৃপ্ত পায়ে হেঁটে এসে হাত নাড়ছিলেন বঙ্গবন্ধু। হাস্যোজ্জ্বল বঙ্গবন্ধুর পেছনে নদীর ঢেউ। মঞ্চে ওঠার পাঁচটি সিঁড়ি যেন লাল-সবুজের বাংলাদেশের পাঁচ দশকে উত্তরণের ছবি। মঞ্চের সামনে ফুল দিয়ে লেখা ‘মুজিব ১০০’।
সঞ্চালক সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে আসন নেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করার পর একটি ভিডিও অ্যানিমেশন চিত্র এবং মুজিব বর্ষের থিম সং পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা পর্ব শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এরপরই ভিডিও বার্তায় আসেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বার্তায় তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সমগ্র জীবন নিজের দেশ আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন। তাই আজও বাংলাদেশের জনগণের কাছে তিনি এত প্রিয়। তাঁর সোনার বাংলার স্বপ্ন এখনো বাংলাদেশের বিকাশে ১৬ কোটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে।
১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরের মধ্য দিয়ে চেয়ারম্যান মাও সে-তুং ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাইয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। সি চিন পিং বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই আগের প্রজন্মের নেতৃত্বের বন্ধুত্বকে মনে রাখতে হবে। আর বন্ধুত্বের এ ব্যাটন তুলে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের হাতে।’ তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে যে স্বপ্নের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ, তার বাস্তব রূপায়ণে সারথি হওয়ার আশা পোষণ করছে চীন।
আজকাল যেন রাজনীতি উল্টো পথে হাঁটছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়।
মো. আবদুল হামিদ, রাষ্ট্রপতি
বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য প্রধানমন্ত্রীকে কয়েক দিন আগে উপহার দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেটি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ভাস্কর্য হস্তান্তরের ভিডিও অনুষ্ঠানে দেখানো হয়।
এরপর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মের ১০০ বছর আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আমরা আমাদের উত্তরাধিকারের কথা মনে করে পেছনে ফিরে তাকাই। অতীত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ব্যক্তিমানুষের শক্তিমত্তা কীভাবে টেকসই পরিবর্তন নিয়ে আসে। মানুষকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন বলে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছিল। বিশ্বের নেতৃত্ব আর মানুষ হিসেবে আজকের দিনে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এসে আমাদেরও তা-ই করা উচিত। তাহলেই আমরা একসঙ্গে পরের প্রজন্মের জন্য অপেক্ষাকৃত উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি।’
জাস্টিন ট্রুডো তাঁর বাবা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সঙ্গে শৈশবে বাংলাদেশ সফরের স্মৃতিচারণা করেন। বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসার দাবিদার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এরপর শুভেচ্ছা ভিডিও বার্তায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেন, জাপান সফরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রামীণ জনপদের কৃষি আর মৎস্যজীবীদের পল্লিতে গিয়েছিলেন। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। জাপানকে মডেল ধরে এগোনোর কথা বলেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাপান শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান তিনি। ‘ধন্যবাদ’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সাংবাদিক মার্ক টালির ভিডিও বার্তাও অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়। তিনি জানান, তাঁর মা বাংলাদেশের আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করায় বাংলাদেশ তাঁর জন্য বিশেষ একটি জায়গা। সাংবাদিক হিসেবেও বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই আগের প্রজন্মের নেতৃত্বের বন্ধুত্বকে মনে রাখতে হবে। আর বন্ধুত্বের এ ব্যাটন তুলে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের হাতে।
সি চিন পিং, চীনের প্রেসিডেন্ট
অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বলেন, বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের এক মহান ব্যক্তিত্ব। গণতন্ত্র আর মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে সব সময় সম্মানের আসনে থাকবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট সলিহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি। তাঁর ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পথে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হিসেবে থাকবেন বঙ্গবন্ধু।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিতভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমাজের বিশিষ্টজনসহ দেশি-বিদেশি শ পাঁচেক নিমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানস্থলে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। প্রতিটি বক্তৃতার পর করতালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ ও জনগণের অর্থাৎ বাঙালি ও বাংলাদেশের স্বার্থকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। পাকিস্তানে কারাবন্দী থাকার সময় ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়ার আপসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে একমাত্র একজন মহানায়কই এমন সাহসী উচ্চারণ করতে পারেন। নিজের দেশকে ও নিজ দেশের মানুষকে পরিবারের চেয়ে বেশি ভালোবাসলেই মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতা ও মুক্তির গান গাওয়া যায়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজ আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। এ সময়ে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উতরাই ঘটেছে। কিন্তু রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে, তা ভেবে দেখতে হবে। ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়—এটাই হচ্ছে রাজনীতির মূল আদর্শ। কিন্তু আজকাল যেন রাজনীতি উল্টো পথে হাঁটছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক রাজনীতিটাকে পেশা বানিয়ে ফেলেছেন। রাজনীতি আর পেশা এক জিনিস নয়। পেশার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের ও পরিবার-পরিজনের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন। আর রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার একটি মহান ক্ষেত্র।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিনে তাই আমি রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানাব, আসুন বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করি।’
সভাপতির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। আজ এমন এক সময়ে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে যাচ্ছি, যখন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আজকে বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে তাকে সহজে অবনমন করা বা নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা অপতৎপরতার মাধ্যমে এ অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবই, ইনশা আল্লাহ।’
আলোচনা শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে শ্রদ্ধা স্মারক তুলে দেন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সব্যসাচী হাজরার ডিজাইনে করা ওই শ্রদ্ধা স্মারকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক তর্জনী আর ৯টি উড়ন্ত পায়রা রয়েছে। স্মারকে রাখা হয়েছে টুঙ্গিপাড়ার মাটি।
বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। শুরুতে একক এবং শেষে সম্মিলিতভাবে অতিথিদের গান গেয়ে শোনান শিল্পী সাদি মহম্মদ, শিমূল ইউসুফ, রফিকুল আলম, আব্দুল হাদী ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটি গাইতে শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা হাততালি দিয়ে সংগত দেন। পরে পাঁচ শিল্পী সমবেত কণ্ঠে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’ গাইতে শুরু করলে তাঁদের সঙ্গে দর্শক সারি থেকে ঠোঁট মেলান দুই বোন।
জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারতের খ্যাতিমান নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের পরিচালনায় ভারতীয় শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘মহাকালের তর্জনী’। বিকেলে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শুরু হবে সেই প্যারেড গ্রাউন্ডে।