চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইয়াহহিয়া খানের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে বিষয়টি জানাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মারধরের বিষয়টি বৃহস্পতিবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার নজরে আনলে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের যুগ্ম-বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
পরে মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের জানান, মাওলানা ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে কোনো মামলা, তাকে গ্রেপ্তার কিংবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা, তা হাইকোর্ট চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছেন।
এছাড়া মারধরের শিকার শিশুটির বাবা-মাকে মামলা প্রত্যাহার করতে জোর করা হয়েছে কিনা এবং তার পরিবারকে পুলিশি সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
প্রতিবেদনটি যাচাইয়ের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন বলে জানান মাহমুদ বাশার।
এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসায় ছাত্র নির্যাতনের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।
এছাড়া ওই শিক্ষককে হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।