বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনার আরজি জানিয়ে করা রিট আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা এবং চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিতে পারে কি না, সে বিষয়ে মতামত দিয়েছেন ছয় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতে আইনি সহায়তাকারী)।
সোমবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে ছয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তারা হলেন- এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, আবদুল মতিন খসরু, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এনামুল কবির ইমন। বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেজা-ই-রাকিব।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। ১০ ফেব্রম্নয়ারি এক আদেশে ছয় অ্যামিকাস কিউরির মতামত শুনতে চায় হাইকোর্ট।
শুনানিতে রিট আবেদনের আগে বিবাদীপক্ষকে আইনি নোটিস না দেওয়া, আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ কীভাবে হলেন, জনস্বার্থের সঙ্গে এই আবেদনের যৌক্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে অভিমত দেন বেশিরভাগ অ্যামিকাস কিউরি। আইনজীবী কামাল উল আলম রিট আবেদনে আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার যৌক্তিকতা ও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, প্রবীর নিয়োগী রিট আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত দেন।
তবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে মতামত দেন। রিট আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি অপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক আদালতের সিদ্ধা‡ন্তর ওপর ছেড়ে দেন। অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত শুনে হাইকোর্ট বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখে। ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের বক্তব্য শুনবে আদালত।
সম্প্রতি আলজাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেড়্গিতে বাংলাদেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। এতে ওই প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেইসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়।