জীবনের সাতাশ ফাগুন নিয়ে গেছে ভিন্ন ভূগোল ভিন্ন স্রোতে মাঝি ধরেছে হাল সবটা সকাল। আপন গোপন গহনে তিমিরের বিনাশী শিখা যেদিকেই ভীড়ে তরী সেদিকেই পৃথিবী পোড়ে। তীক্ষ্ণ আঁখির টানে যদি ভালোবাসা নাহি জাগে তবে কেন মাটির শরীর এসেছিলো মাটির কাছে পাতার আড়ালে রেখেছিলো হাত ফুল থেকে ফুলে? স্বস্তির মগ্নতা চেয়ে প্রেমার্দ বুক আজো পোড়ে উত্তাপে আজো চিতার অনলে উদগ্রীব নয়ন দ্যাখে শুধু ভিন্ন গগন। বৈধ প্রেমের বাঁধন ভুলেছে নারী এখন নারী শুধু চায় আদ্র রজনীর যৌন গুঞ্জন। যদি তাই চাওয়া হবে তবে কেন এসেছো রুক্ষ ফাগুনে তবে কী লাভ আজ উর্বশী হয়ে সেজে? খোঁপায় গোলাপ গেঁথে বেশ্যাও তো পার্কে হাঁটে। জন্মের ক্লেদে ভেসে যাওয়া জননী উৎকণ্ঠার ধ্বনিতে ডাকে মিছিলের পথে আমি কি আর পারি তার সবটুকু দিতে! সুর্যহীন, জোৎস্নাহীন, কালো ম্লান অন্ধকারে।
—নাদিম সিদ্দিকী দর্শন বিভাগ নেত্রকোনা সরকারি কলেজ