স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্রের জন্য শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার আত্মদানের কথা সবাই ভুলেই গেছি বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, তাকে স্মরণ করার জন্য আয়োজন কমতে কমতে শূণ্যের কোঠায় পৌছেছে। ১৯৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাবি শাখার জাতীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাউফুন বসুনিয়া সেদিন ঢাবিতে সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগরীর স্মরণসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাউফুন বসুনিয়া দেশের গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। অথচ তার কথা আজ কারো মনে নেই। বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দৈন্যতাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। শুধু রাউফুন বসুনিয়া নয় এমন আরো অনেক শহীদদের কথা আমরা ভুলে গেছি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সে সময় যারা রাজপথ কাঁপিয়েছিলেন তারাও কি মনে রেখেছেন তাদের সহযোদ্ধদের কথা? আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা নিশ্চয় বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন না বা দাবি করতে পারবেন না সেই কথা।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, শহীদ রাউফুন বসুনিয়ার প্রতি ক্ষমা চেয়ে বলছি, না বসুনিয়া আমরা অতটা কৃতজ্ঞ জাতি নই যে প্রতি বছর তোমাকে স্মরণ করতে হবে, এখনো স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা উঠলে আমরা তোমার কথা বলি, জয়নাল-জাফর-দিপালী-কাঞ্চন-কমরেড তাজুল এদের কথা বলে বাহবা নিতে কিন্তু কুণ্ঠিত হই না।
তিনি বলেন, রাউফুন বসুনিয়া শহীদ হন ১৯৮৫ সালে। কিন্তু তারও দুই বছর আগে ১৯৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় স্বৈরাচারী এরশাদের ‘মজিদ খান শিক্ষানীতি’র বিরুদ্ধে আন্দোলনে বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিলেন আমাদের ভাই-সহযোদ্ধা জাফর-জয়নাল-দীপালি-কাঞ্চন।
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণ-রাজনৈতিক জোট-গর্জো সভাপ্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান লিটু, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. আতিকুল ইসলাম, এহসানুল হক জসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, কুমিল্লা বিভাগীয় সমন্বয়কারী কৃষক মো. মহসিন ভুইয়া, মহানগর সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহিলা সম্পাদিকা সাদিয়া ইসলাম ইমন, ছাত্র গোলাম মোস্তাকিম ভুইয়া প্রমুখ।