দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে তৃণমূল রাজনীতি শূন্য হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, দেশ-রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যানের স্বার্থেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থনীয় নির্বাচন হওয়ার আইন চালু হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও দুর্নীতিাজদের দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। দলীয় নেতারা দলীয় রাজনীতির চেয়ে অর্থ আয়ের পেছনেই বেশি ছোটেন। কারণ তাদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে টাকা থাকলে নেতাও হওয়া য়ায় এবং জনপ্রতিনিধিও। ফলে তৃণমূলে রাজনীতিতে সংগঠনের জন্য সময় না দিয়ে অর্থের পেছনে ছোটার এটাও অন্যতম কারণ। প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা এখন আর তৃণমূলে রাজনীতি করেন না, অর্থ নিয়ে প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ঘুরেফিরে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেন। কর্মী মূল্যায়ন তারা বোঝেন না।
নেতৃদ্বয় বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো পূর্বে নির্দলীয় হওয়ায় এলাকার গণ্যমান্যদের ওই এলাকার নেতারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাইতেন। ওই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক আবহ থাকলেও মনোনয়ন পেতে স্থানীয়ভাবে নিজের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা থাকত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। ফলে এলাকায় জনপ্রিয়রাই আসলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সাহস দেখাতেন। যে কেউ মনোনয়নের প্রত্যাশা করতেন না। এখন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় এলাকার জনপ্রিয় মানুষ বা নেতার চেয়ে টাকাওয়ালা অথবা স্থানীয় এমপির প্রভাবে প্রভাবশালীরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় তৃণমূলের রাজনীতির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগের নিয়মে অর্থাৎ নির্দলীয় করা উচিত বলে মন্তব্য করে বলেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি ডেকে আনছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগের নিয়মে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলে সাংগঠনিক রাজনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় অরাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী যারা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সেই সুযোগ আর থাকবে না।