সারা দেশের টিলা রক্ষায় রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত। দেশের সকল টিলা সঠিকভাবে সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, কেউ টিলা কর্তন করলে তার বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৫ ধারা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ জারি করে।
আদেশে কুলাউড়ার মলাংগি টিলা কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। এইচআরপিবির পক্ষে এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুইয়া।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন, ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। আইনের ১৫ ধারা অনুসারে কেউ টিলা কর্তন করলে তার দুই বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে মলাংগি টিলার একটি বড় অংশ কেটে রাস্তা নির্মাণ ও মাটি বিক্রি করলেও আইনানুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাইকোর্টের বরাতে তিনি জানান, কোনো এলাকায় টিলা কাটা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি কর্মকর্তাকে দায়ী করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মলাংগি টিলা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সারা দেশের টিলা রক্ষায় মনিটরিংয়ে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১৩ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।