একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার ফারজানা জামান নেহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। তিনি মৃত ওই ছাত্রীর বান্ধবী বলে পুলিশ জানায়। শুক্রবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হেমায়েত উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামি নেহার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সাফায়েত জামিল নামে এক শিক্ষার্থী আদালতে আত্মসমর্পণ করে বলেন, তিনিই মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি। তিনি মামলার আসামি হতে চান। তাকে এই মামলায় যেন গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় চার আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহত ছাত্রীর বাবা। পাঁচ নম্বর আসামির তালিকায় একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর বাবা দাবি করেন, গত ২৮ জানুয়ারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (বাদীর মেয়ে) মিরপুর থেকে লালমাটিয়ায় তার বন্ধু আরাফাতের কাছে আসেন। এরপর আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও আরাফাত ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে উত্তরায় একটি রেস্টুরেন্টে যান। আগে থেকে ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান করা ওই শিক্ষার্থীর বান্ধবী নেহা ও অজ্ঞাত একজন ব্যক্তিসহ অন্য আসামিরা ওই শিক্ষার্থীকে অধিকমাত্রায় মদ পান করান। তখন ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে নুহাত আলম তাফসীরের বাসায় আসেন। সেখানে আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন। পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অজ্ঞাত বিষক্রিয়ার কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলছেন, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।
মামলার নথিপত্র বলছে, ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরকে গত ৩১ জানুয়ারি পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এই দুই আসামি এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।