চাল ও ভোজ্য তেলে বাজারে চলছে তেলেসমাতি মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, চাল ও ভোজ্যতেলের বাজারে লাগাম নেই, ঊর্ধ্বমুখী গতিতে থাকা এই দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে আটার মূল্যও। চালের ভরা মৌসুমে চালের মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে। সামান্য যেটুকু ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে তা পূরনে সরকার চাল আমদানি করছে। তারপরও দফায়-দফায় চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। অন্যদিকে তেল নিয়ে তেলেসমাতি থামছেই না। লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে ভোজ্য তেলের মূল্য। সরকার খোলা তেলের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও মালিকরা তা মানছেন না। আটার মূল্যবৃদ্ধির কোন কারণ আছে বলে কেউ জানে না।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, একদিকে মুনাফাখোর, অসৎ বাজার সিন্ডিকেট, অন্যদিকে চাতালের মালিকদের কারসাজিতে লাগামহীনভাবে চালের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে তেল নিয়ে ভয়াবহ সিন্ডিকেট চলছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারি ব্যবস্থা বলতে বাস্তবে কিছু নেই। এ কারণে অসৎ ব্যবসায়ী চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রায় প্রতিটি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিচ্ছে। অপর দিকে গ্রামের গরিব ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য চালু করা কর্মসূচিগুলো দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কারণে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, ভিজিবি ও ভিজিএফ কর্মসূচিসহ গ্রামীণ গরিবদের জন্য নেওয়া প্রায় সব প্রকল্পই দুর্নীতির কারণে অকার্যকর হয়ে পড়ছে। সরকারি প্রতিবেদনেই এইসব প্রকল্পের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বিস্ময়কর সব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
তারা বলেন, বাজার নিয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি না থাকার কারণেই চাল-ভোজ্যতেলের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।
নেতৃদ্বয় দ্রুত চাল, ভোজ্য তেল, আটার মূল্য নিয়ন্ত্রনসহ বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।