বরিশালের বাবুগঞ্জ এলাকার আগরপুর, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে ১৯৯২ সালে স্থাপিত আনাম স্মৃতি সংঘ নামের একটু সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন অত্র এলাকার গরিবের বন্ধু অসহায় মানুষের প্রাণ মানবিক এনামুল হক আনাম। তিনি ছিলেন একজন গরিবের বন্ধু অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতেন। তার জন্ম বাবুগঞ্জের আগরপুর গ্রামের মিয়া বাড়ি।
জানা গেছে, এনামুল হক আনাম ১৯৯২ সালে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর উক্ত ক্লাবটি এলাকাবাসী নাম রাখেন এনাম স্মৃতি সংঘ। সেই থেকে তার একমাত্র মেয়ে মৌরিন আক্তার দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন সামাজাকি কাজেও অংশ গ্রহন করেন।
সভাপতি মৌরিন আক্তার বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন গরিবের বন্ধু, অসহায় মানুষের কল্যাণে সবসময় কাজ করতেন, আর তাকে শ্রদ্ধা ও আমরন ভালোবাসতো সাধারণ মানুষ। তার মৃত্যুর পর তার অসমাপ্ত কাজগুলো তার আমি করে যাচ্ছি, আমরা এই আনাম স্মৃতি সংঘের পক্ষে এযাবৎ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের পাশে দাড়িয়েছি ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের সেবাগুলোর মধ্যে প্রতি শীতে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরন করি তাছাড়া প্রায় সময়ে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাল, শাড়ি, লুঙ্গী, জায়নামাজ, কোরআন শরিফ, জামাকাপড়, কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, রেশন কার্ড, টিউবওয়েল, কিচিৎসার জন্য নগদ টাকা, এতিম শিশুদের খাওয়া এবং পড়াশোনার খরচ তাদের জামাকাপড়, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার অনেক বিধবা মায়েদের ভরনপোষণের দায়িত্ব, রমজান মাসে টানা ৩০ দিন ইফতারসহ নানান সামাজিক কাজ আমরা করে আসছি।
এবিষয় এনাম স্মৃতি সংঘের সকল সেচ্ছাসেবীরা বলেন, এমন মানবিক কাজ আমরা দায়িত্ব নিয়ে করি কারন তারা সর্বপ্রথম মানুষ। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আমাদের কার্যক্রম গুলো সামাজিক মাধ্যমে সবসময় প্রচার করি এবং একাকার সবাই জানে অনেক গরিব মানুষ আমাদের কাছে আসে আমাদের সাধ্যের মধ্যে দেয়ার চেষ্টা করি সবসময় তবে দেশের বিত্তবান শ্রেণির মানুষেরা যদি আমাদের সাথেও সাহায্য করতো তাহলে অসহায় মানুষ গুলো আরও ভালো থাকতে পাতো।
এনাম স্মৃতি সংঘ হতে আর্থিক সাহায্য পাওয়া অনেকেই বলেন, এটা আমাদের একমাত্র ভরসা স্থান। আমরা এখানে গেলে কোনদিন খালি হাতে ফিরে আসেনি। এমনকি তারাই আমাদেরকে খুঁজে বের করে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেন।
এবিষয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বলেন, এনাম স্মৃতি সংঘ দীর্ঘ বছর ধরে এলকার অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেন এটা একটা ভালোদিক। আমরাও চাই সমাজে এমন প্রতিষ্ঠান আরও গড়ে উঠুক। তাদের কারনে অনেক অসহায় মানুষ একটু নিশ্চিন্তে থাকে। আমাদের অনুরোধ একের লাঠি দশের বোঝা যেমন মানুষের কল্যাণ আনে ঠিক তেমনি সবাই যেন সংগঠনটির পাশে দাড়িয়ে তাদের সাহায্যের হাত।