মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা। শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্ব এখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সাথে সাথে জঙ্গিরা নতুন নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যেমন জঙ্গিদের টার্গেট শপিংমল, মসজিদ এবং পথচারী। ট্রাক জাতীয় লরি যুক্তরাষ্ট্রে ফুটপথের নিরীহ জনগণের ওপর নির্দয়ভাবে চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া সর্বশেষ ১৫ মার্চ ২০১৯ নিউজল্যান্ডের ক্রাইচটার্চে আল নুর মসজিদে বন্দুক হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে নিহত হতে হয়েছে এবং ৪৯ জন আহত হয়। যেখানে ৫-৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকও ছিল। বাংলাদেশে ১-২ জুলাই ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট এ হামলা চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক ছিল।
১৪ নভেম্বর ২০০৫ সালে যে দুজন বিচারক জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। বিচারকের আত্মোৎসর্গ ও বাংলাদেশসহ বিশ্বে জঙ্গিবাদ কীভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে তার কিছু পরিসংখ্যান তু্লে ধরা হবে।
আজ ১৪ নভেম্বর। দিনটি বিচারকদের জন্য অত্যন্ত শোকের ও ব্যথার। ২০০৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের বিচারাঙ্গন থেকে দুটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে নারকীয় ও কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়। এই দিনে বিচারকদের মানসিক কষ্ট বাড়ে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগে সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাড়ে ১৯৯৮ সালে ১৮তম বিসিএস বিচার এর মাধ্যমে সহকারী জজ হিসেবে ২৪ জুন যোগদান করেন। তারা দুজনে ঝালকাঠি জজ আাদলতের সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে কর্মরত থাকাকালে নির্মম জঙ্গি হামলার শিকার হন। তার আগে সোহেল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ও জগন্নাথ পাড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের দুজন মেধাবী সদস্য সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাড়ে এবং সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহমেদ জঙ্গিদের হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে দিনটি অত্যন্ত শোকের এবং ঘৃণার। পুরো দেশ এই দিনটিকে বিচার বিভাগের জন্য নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট বলে মনে করে। জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহমেদ হত্যার বিচার ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পরের বছর ২৯ মে জেলা জজ আদালতে মামলার রায় প্রকাশ হয়। রায়ে সাতজন জঙ্গির ফাঁসির রায় হয়। পলাতক আসামি আসাদুল ইসলাম আরিফ বাদে সুপ্রিম কোর্টে বাকি সব জঙ্গির ফাঁসির রায় বহাল থাকে। এবং তাদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর হয়।
জগন্নাথ ও সোহেল আহমেদ হত্যা মামলা পরিচালনাকারী বিজ্ঞ আইনজীবী ও পিপি হায়দার হোসেন জঙ্গিদের আক্রমনের শিকার হয়ে শহীদ হন। কিন্তু এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বিজ্ঞ সেই সাহসী আইনজীবীর হত্যাকারীদের আজও বিচার সম্পন্ন করা হয়নি।
বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের প্রভাব বর্তমানে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত দশকে সারাদেশে উগ্রপন্থিদের হাতে বিচারক, লেখক-প্রকাশক, শিক্ষক, বিদেশি নাগরিক, পুলিশ, ইউএস এইড কর্মকর্তাসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। উগ্রপন্থিদের হাত থেকে বাদ যাননি বিখ্যাত আলেম ও জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ফারুকীও। জঙ্গিরা তাকেও হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় অনুমান করা যায়, বাংলাদেশ জঙ্গিদের অন্যতম টার্গেট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দুর্বল করে নিজেদের অন্যায় দাবি হাসিল করা। যেকোনো জঙ্গি হামলার মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বে বাংলাদেশ ও দেশের সরকারকে হেয় ও মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা।
১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত জঙ্গিবাদের ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ। এ সময় বোমা হামলার ঘটনা ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব বোমা হামলায় অসংখ্য মানুষ মারা গেছে। মূলত তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা এ দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল বলেই তারা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে মনে রাখা ও ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার মধ্যে ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ যশোরে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ওপর বোমা হামলা। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিলে রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়, শতাধিক আহত। ২০০১ সালের ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সভায় জঙ্গিদের বোমা হামলায় যথাক্রমে আটজন ও চারজন মারা যায়। আহত শতাধিক। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর সিরিয়াল বোমা হামলা চালানো হয় ময়মনসিংহের সিনেমা হলগুলোতে। তাতে মারা যায় ১৮ জন, আহত ৩০০। ২১ মে ২০০৪ সালে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। তবে বোমা হামলায় হাইকমিশনার বেঁচে গেলেও মারা যায় অন্য দুজন, আহত ২০ জন। একইভাবে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশেও জঙ্গি হামলা চালানো হয়েছিল।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক সিরিয়াল গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। যেটি নিশ্চয়ই সকলের মনে থাকার কথা। এতে নিহত হয় ২৩ জন, আহত পাঁচ শতাধিক। এ হামলায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একটি বৃহৎ অংশ। আওয়ামী লীগ প্রধান, তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান। তবে ওই হামলায় মারা যান মহিলা আওয়ামী লীগ প্রধান আইভি রহমান। ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়া ও নাটোরে বোমা হামলায় মারা যায় তিনজন, আহতের সংখ্যা ৭০ জনের অধিক। একই মাসে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বোমা হামলায় মারা যান সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াসহ পাঁচজন, আহত হয় ১৫০ জন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় বোমা হামলা করা হয়। আর্ন্তজাতিক মদদে দেশীয় জঙ্গিরা সারা দেশে বোমা ও গ্রেনেড হামলা করে তাদের শক্তিমত্তা প্রকাশ করে। ২০০৫ সালের নভেম্বরের ১৪ তারিখে ঝালকাঠিতে দু’জন সিনিয়র সহকারী জজকে বোমা মেরে হত্যা করা হয়। সেদিন জঙ্গিদের হাতে দুটি তরুণ তাজা প্রাণ সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাড়ে ও সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহমেদের নির্মমভাবে নিহত হন। যার খবর মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী জানতে পারে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কাভারেজ পায়। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় উদীচী কার্যালয়ের সামনে এক বোমা হামলায নিহত হয় আটজন, আহত ৪৮।
বিগত ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার খুন হন। তারপর থেকে টাঙ্গাইলে হিন্দু দর্জি নিখিল জোয়ারদার হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। গত ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা খুন করে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগতি প্রকাশনীর তরুণ প্রকাশক দীপনকে। অভিজিৎ রায় মুক্তমনা নামে ব্লগ সাইটের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি স্বস্ত্রীক ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমির বইমেলা দেখে ফিরছিলেন। পথে চাপাতির আঘাতে নিহত হন। তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদও মারাত্মক আহত হন। অভিজিৎ রায়কে হত্যার একই মাসে ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াসিকুর রহমানকে ঢাকার তেজগাঁও এলাকার একটি সড়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৬ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দুর্বৃত্তরা সিলেটের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে । ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে হত্যা করা হয় একই বছর ১২ মে, সিলেটে ২০১৬ সালের ২০ মে। তারপরে চাপাতির আঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন কুষ্টিয়ার হোমিও চিকিৎসক মীর সানাউর রহমান। তার বন্ধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান আহত হন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঘটে নারকীয় এক জঙ্গি হামলা। রাজধানী ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ওই হামলায় তিন বাংলাদেশি এক ভারতীয়, নয় ইতালীয় এবং সাত জাপানি নাগরিক নিহত হন। ২০১৬ সালে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত শোলাকিয়া ময়দানে জঙ্গিদের হাতে চারজন নিহত হয়। (তথ্যসূত্র: পত্রিকা ও ইন্টারনেট)
এসব হামলা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের প্রভাব এবং বাংলাদেশেকে একটি জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানানোর অপপ্রয়াস ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বিশ্বাসী বেশিরভাগ মানুষ প্রিয় এই দেশকে কোনোদিনও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়নি, এখনো চায় না। মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে মনের সুকুমারবৃত্তির পরিচর্যা দরকার এ উপলব্ধি জাগিয়ে তুলতে হবে। হিংসা দিয়ে যে জীবন তৈরি হয়, তাতে আর যাই হোক কাঙ্ক্ষিত মানব সভ্যতাকে লালন করা সম্ভব নয়। এখন তাই প্রয়োজন যেকোনো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর রাষ্ট্রীয় প্রয়াস। সবচেয়ে বড় কথা এই যে সরকারের মধ্যে যারা এসব কাজের বিরোধিতা করবে, তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। তবে যা কিছুই করা হোক না কেন, জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ও প্রচার বাড়িয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাগ্রত করতে হবে। জঙ্গি দমনের পাশাপাশি উগ্র মৌলবাদী বা যেকোনো উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থে জয়ী হতে হলে প্রকৃত জ্ঞানচর্চা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রসার ও প্রচারের বিকল্প নাই। বিশ্বজুড়ে জঙ্গি প্রতিষ্ঠানের বিস্তার শুধু দারিদ্রতার কশাঘাতে নয়; কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবেও নয় অথবা ধর্মপ্রাণ হওয়ার কারণেও নয়। বর্তমান জগতের জঙ্গিবাদ এমনই কিছু মানবসৃষ্ট মানসিক মহামারী, যা ক্রমশ চাতুর্যের সঙ্গে পৃথিবীর সর্বপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানলের মতো। মাদকদ্রব্য নেশার মতো জঙ্গিবাদের হিংস্রতার নির্মম উদ্দীপনাও অজস্র তরুণের মনে ভয়ানক মাদকতার নিষ্ঠুর ছোঁয়া লাগাচ্ছে। ফলে জঙ্গি সংগঠনের আদর্শের প্রতি তারা আসক্ত হচ্ছে। জগন্নাথ ও সোহেল আহমেদ দুজন মেধাবী বিচারক এর নৃশংস হত্যা অদ্যাবধি আমাদেরকে ব্যথিত করে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা ও হামলার ঘটনা কমছে। এটা আমাদের জন্য স্বস্তির বিষয়; বাংলাদেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের প্রশংসা করে মার্কিন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ যে জঙ্গি দমনে সফল- এটি শুধু মার্কিন প্রতিবেদন নয়, দেশি-বিদেশি অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে। কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমকে ‘রোল মডেল হিসেবেও অভিহিত করেছে। বৈশ্বিক ও দেশীয় সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমান সরকার মোটাদাগে সফল হয়েছে বলা যায়। তবে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনদের মধ্যে জমিয়াতুল মুজাহিদিন, হুজি, হরকাতুল জিহাদ, সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জঙ্গিদের বিচারের মুখে এনে রাষ্ট্র সময়োচিত সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৪ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবিরোধী দিবস হিসাবে ঘোষণা করা উচিত। যাতে করে জনগণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের এই দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে পারে।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে জাতি, ধর্ম ও বর্ণের ঊধ্বে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন লালন করতেন। বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে জনগণকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার এর নির্দেশে চৌকস আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। জনগণ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ দমনে আরও কঠোর হবে এবং বাংলাদেশেকে একটি নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
লেখক: বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত।