মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম
মাষ্টার মশাই শিক্ষাগুরু আগে পেতেন কদর
হালের কালে বেয়াদবি শুনি সবাই বাঁদর,
গুরুভক্তি পায়ে সালাম গেছে অনেক আগে
ধোলাই খাওয়া হরদম চলে মাষ্টার না পায় বাগে।
কবিগুরু রবিঠাকুর জন্মায় না আজ, একাল
হরহামেশাই খবর আসে মাষ্টার মশাই নাকাল।
পিতৃতুল্য মাতৃতুল্যা দিতাম সম্মান যাদের
এই জমানায় খড়ম হস্তে দেখায় তোমায় নাদের।
আইলো গেলো কত শিক্ষক ছাত্র জীবন ভর
পিতারকালে শুনতাম শুধু শিক্ষকতে ডর।
মানুষ হতে পারলাম কি আর লেখাপড়া করে
মর্যাদা আর শিষ্টাচার বুঝি, কি সত্যি যাদুঘরে।
শিক্ষাগুরু সত্যি হারিয়ে স্বীয় মান ও সম্মান
দোষ কি শুধুই ছাত্রের নাকি নিজ পেশার অপমান।
স্কুলেতে না পড়িয়ে আজ বাসায় কোচিং ব্যাবসা
গুরুভক্তি মর্যাদাটা আজ, তা-ই তো বুঝি ঝাপসা।
শিক্ষকতা মহান পেশা বলে গেছেন যিনি
সত্যি কথা তিতা অতি ভুলে বসেন তিনি।
হালের কালে শিক্ষক হতে চলছে গড়িমসি
গুরুর কদর কমছে ত্বরায় কারণ, ভাবছো কি তবে বসি।
কবি ও লেখকঃ মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিচারক বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস।