নিজস্ব প্রতিবেদক-
গত ২০ আগস্ট প্রথমবারের মত মেয়াদ পূর্ণ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। প্রায় দীর্ঘ একমাস অভিভাবক শুন্য অবস্থায় চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ফলে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ভিসি কে হচ্ছেন এ নিয়ে ব্যপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেই পদটি পেতে হাফ ডজন সিনিয়র শিক্ষক দৌড়ঝাঁপ নেমেছেন। তবে আলোচনায় বারবার এসেছে একটি নাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। এনিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছুড়াছুঁড়ি। অনেকে অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাস ও দিচ্ছেন।
ইসলামী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সুমন অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তম ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আব্দুস সালাম স্যার।’
এদিকে বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য সূত্র না থাকায় বিষয়টি গুজব বলেও মনে করছেন অনেকেই।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিকে সাদিক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ক্যারে ভাই এখনও তো নতুন ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নাজেল হয়নি। আপনারা কেন এভাবে বিদায়ী সম্ভাষণ দিচ্ছেন।’
ইবি ভিসি নিয়োগের ব্যাপারে এখনো অফিসিয়ালি প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা গেছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীকে আবারো ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিসি নিয়োগ দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
সিএসই বিভাগের শাকিল রুহানি সরকার নামে এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারছিনা। ইবিতে ভিসি হওয়ার মত যোগ্য শিক্ষকের অভাব? বাহিরের শিক্ষকদের তেমন মায়া কাজ করেনা যেমনটি কাজ করে ইবির শিক্ষক ভিসি হলে।’