দেশে বিচারাধীন ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮ মামলা
আপিল বিভাগে বিচারকপ্রতি মামলা ৩৯৩৬টি
বিচারকপ্রতি ৫০৪১টি মামলা হাইকোর্ট বিভাগে
অধস্তন আদালতে বিচারকপ্রতি ১৭৫০টি মামলা
গত এক দশকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট থেকে অধস্তন সব আদালতে মামলার সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি বিচারকের সংখ্যা। এই সময়ে সর্বোচ্চ আদালতে বিচারকের সংখ্যা যা ছিল, তুলনামূলকভাবে তা আরও কমেছে। ২০১০ সালে আপিল বিভাগে ১১ জন বিচারপতি ছিলেন, এখন আছেন মাত্র ছয়জন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক ছিলেন ১০২ জন, বর্তমানে আছেন ৯৭ জন।
তবে অধস্তন আদালতে (জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত) বিচারকের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে আছেন এক হাজার ৮১২ জন। আগে ছিলেন এক হাজার ৬০০ জন বিচারক।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিচারাধীন মোট মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৮টি। এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে ২৩ হাজার ৬১৭টি। হাইকোর্ট বিভাগে রয়েছে চার লাখ ৮৯ হাজার ৬৮টি মামলা। অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩টি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, আপিল বিভাগে বিচারকপ্রতি রয়েছে তিন হাজার ৯৩৬টি মামলা এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকপ্রতি রয়েছে পাঁচ হাজার ৪১টি মামলা। অধস্তন আদালতে বিচারকপ্রতি এক হাজার ৭৫০টি মামলা আছে। ২০১৪ সালে আইন কমিশন অধস্তন আদালতের জন্য তিন হাজার বিচারক নিয়োগের সুপারিশ করলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিভিন্ন ধরনে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। ফলে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও চলমান। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ মার্চ থেকে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বিচারাধীন ও পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি না হলেও যোগ হয়েছে নতুন নতুন মামলা।
তারা বলছেন, বিপুল সংখ্যক মামলার জট কমাতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, এজলাসের সঙ্কট দূর করা, মামলা দায়েরের পদ্ধতি পরিবর্তন, জমিজমার রেকর্ড ও সংরক্ষণ সঠিকভাবে করা, অপ্রয়োজনীয় মামলা বাতিল, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) বাস্তবায়ন, আদালতের ছুটি কমানো এবং কর্মঘণ্টা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে বিচারকের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। ফলে মামলা বাড়ছে এবং ন্যায়বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। তাই মামলার সংখ্যা হ্রাসে উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারক নিয়োগ এবং ছুটি কমিয়ে আদালতের কর্মঘণ্টা বাড়ানো যেতে পারে।
বিদ্যমান মামলার জট কমানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বছরের (২০২০ সাল) প্রথম দিন বলেছিলেন, এই বছরের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মামলা নিষ্পত্তি হবে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর আরও জোরদার করা হবে। বিষয়টি এখনও জনগণের কাছে তেমনভাবে পরিচিত নয়। সেই ক্ষেত্রে যেসব ফৌজদারি মামলা আপসযোগ্য, সেগুলো কোর্টের বাইরে মীমাংসা হতে পারে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা সবাই বলি, সরকারও বলেন যে, মামলার জট। কিন্তু কেন এই জট, সেটা রোধের উপায় খুঁজি না। এজন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনাও আমাদের নাই।’
‘মামলা হয় দুই কারণে। একটা হলো- অপরাধের কারণে, আরেকটি হলো- প্রশাসনের কোনো অনিয়মের কারণে। অপরাধ বাড়ছে, সেজন্য মামলাও বাড়ছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য মানুষকে যে লেসন (শিক্ষা) দেয়া দরকার; মামলা, সাক্ষী ও বিচার প্রক্রিয়া— এসব বিষয়ে শিক্ষা পেলে অপরাধ এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখা যায়, অপরাধ সংঘটনের পর বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না। আবার বিচার কবে হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নাই। বিচারের নিশ্চয়তা না থাকায় অপরাধ বাড়ছে। আর প্রশাসনিক কারণে যে মামলাগুলো হয়, সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নেয় না। ফলে মামলার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মামলা বাড়ার কারণ হলো এই দুটা। এক্ষেত্রে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নাই, তাই মামলা বাড়ছেই।’
মনজিল মোরসেদের মতে, ‘দেশের আদালতের বিচারিক প্রক্রিয়াগুলো বিচার দীর্ঘসূত্রতার প্রধান কারণ। এসব বিষয়ে এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতির (এস কে সিনহা) সঙ্গে প্রশাসন অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয়ের জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেটার পেছনে অবশ্য যৌক্তিক কারণও ছিল, এই যে অধস্তন আদালতে সকালে একজন বিচারক বসেন, আবার বিকেলে বসেন আরেকজন। তার মানে, আদালতে জায়গার সংকুলান নাই। যেখানে বসে বিচারক বিচার করবেন সেই জায়গাও পর্যাপ্ত নাই। অর্থাৎ আমাদের জায়গা বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্টও প্রয়োজন।’
“বিচারক আদেশ দেবেন, টাইপ করতে হবে, পেশকার-পেয়াদা লাগবে। আদেশ কমিউনিকেট করতে হবে। এগুলোর জন্য যে লোকবল লাগবে তাও পরিপূর্ণভাবে নাই। বিচারকের সংখ্যা অবশ্যই বাড়াতে হবে। কারণ, দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, মামলাও বাড়ছে। মামলা যখন বাড়ছে তখন বিচারকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। কিন্তু সেটা বাড়ছে না। যদিও কোর্টের কর্মচারী ও বিচারকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে কিন্তু সেই ফাইল তো নড়ছে না।”
মানবিক এই আইনজীবী আরও বলেন, “অধস্তন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর সেই মামলা হাইকোর্টে আসে, অতঃপর আপিল বিভাগে। ফলে উচ্চ আদালতে মামলার সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু উচ্চ আদালতে সেই তুলনায় বিচারকের সংখ্যা বাড়েনি। সুপ্রিম কোর্টে বিচারকের সংখ্যা ২০১০ সালে যা ছিল এখন কিন্তু সেই তুলনায় আরও কমেছে। যেখানে বিচারকের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ানো দরকার, সেখানে কমছে। তা হলে আমরা যে মুখে মুখে স্লোগান দেই ‘মামলাজট’, ‘মামলা জট’— এটা আসলে কার ওপরে বর্তায়?”
‘এ দায় কিন্তু বিচারাঙ্গনের ওপর আসে না। বিচারাঙ্গনকে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিতে যে শক্তি অর্থাৎ বিচারাঙ্গনকে আরও কার্যকর করতে যে উপকরণটি দেয়া প্রয়োজন সরকার সেটি দিচ্ছে না, ফলে মামলার জট বাড়ছে। অতএব এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সরকারের। মূলত সরকারই মামলার জট কমাতে সচেষ্ট নয়।’
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম. সানাউল হক জাগো নিউজকে বলেন, “দেশের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়গুলো যদি সরকার দ্রুত ডিজিটালাইজড করে এবং মিডিয়েশন-টা (মধ্যস্থতা) যদি সহজ করে দেয়, তা হলে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারি, খুনাখুনি ও মামলা কমে যাবে। অনেকগুলো মোমেন্ট (মুহূর্ত) আছে, হঠাৎ কোনো মারামারির ঘটনা ঘটলো, দুপক্ষই মামলা করলো; এখানে বিদ্যমান যে সিস্টেমটা আছে ‘উইথ দ্য কনসার্ন অব দ্য কোর্ট’ (ঘটনার বিষয়ে আদালতের সংশ্লিষ্টতা), সেটাকে আরও ইজি-আপ (সহজ) করে দিলে অনেক মামলা কমে যাবে।”
তিনি বলেন, ‘আসামির জামিনের বিষয়ে আদালত যদি আরও লিবারেল (উদার) হয়, যে আসামি পালিয়ে যেতে পারে বা সাক্ষীকে ভয়ভীতি দেখাতে পারে, সাক্ষ্যপ্রমাণ ধ্বংস করার সম্ভাবনা আছে, তারা ব্যতীত; সুপ্রিম কোর্টের নীতিমালা ও বিধি অনুযায়ী আসামির জামিন দেয়া যেতে পারে।’
“জামিনের যে প্রক্রিয়া, সেটা কিন্তু পুলিশ থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত পর্যন্ত একই। সেখানে জামিনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালা ফলো (অনুসরণ) করে জামিন দিলেও মামলার চাপ কমে যায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো, উভয়পক্ষের আইনজীবীরা চাইলে মামলার সংখ্যা কমাতে পারেন। সময় চেয়ে চেয়ে তারিখ নেয়া বাদ দিতে হবে। এছাড়া চার্জশিট রিপোর্টে (অভিযোগপত্র প্রতিবেদন) যে সিভি লেখা হয় সেটারও প্রয়োজন নাই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলা শেষ করা হয়।”
জাপানের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি ফরমে মামলার বিবরণ, সাক্ষী, আসামি, ধারা এবং অপরাধের বিবরণ— সবই শেষ করা হয় জাপানে। আমাদের দেশে তিনবার তিনজনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়ার (আইও, তদারককারী অফিসার আবার কোর্টে) কারণেও মামলার দীর্ঘসূত্রতা পরিলক্ষিত হয়। সাক্ষীও আসতে চায় না। সেজন্য একবার সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করলে মামলার জট কমবে।’
সুপ্রিম কোর্ট থেকে অধস্তন, সকল আদালতে বিচারকের সংখ্যা কম উল্লেখ করে এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘বিচারক কে, কয়টা মামলা নিষ্পত্তি করলো, এর একটা হিসাবও থাকা দরকার। এছাড়া রাজনৈতিক বিবেচনায় পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগ না দেয়ার পক্ষপাতি আমি। এখানে একটা পাবলিক প্রসিকিউটর সার্ভিস হওয়া উচিত, যেখানে পদোন্নতি, জবাবদিহিতা থাকবে এবং সবার কাজের মূল্যায়ন হবে। যেটা জুডিশিয়ারির পার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘দ্রুত আরও বেশি বিচারক নিয়োগ দেয়াটা জরুরি। কারণ একজন বিচারকের কাছে কয়েক হাজার মামলা বিচারাধীন। এছাড়া দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে না পারায় মামলার সংখ্যাও বাড়ছে।’
‘মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ দ্রুত হওয়া, বিশেষ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) হুটহাট বদলি রোধ করা প্রয়োজন। আবার নিম্ন আদালতে চলছে এমন মামলার বিচারিক কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা, পরবর্তীতে সেটি আপিল বিভাগ হয়ে আবার নিম্ন আদালতে ফিরে আসা অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়ার এই যে দীর্ঘসূত্রতা, তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া মামলার জট কমানোর জন্য ই-জুডিশিয়ারি সিস্টেম চালু করে বিচারকদের সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে দিনের মামলা দিনে শেষ করা যায়। এমন হলে মামলার জট কমবে। একইসঙ্গে মামলা নিষ্পত্তিতে মনিটরিং সিস্টেমও কার্যকর করা দরকার।’
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির জাগো নিউজকে বলেন, “মামলার জট কমাতে প্রথমত, বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মামলার ফাইলিং সিস্টেম এবং মামলা পরিচালনার সিস্টেম অর্থাৎ একটা মামলা থেকে পাঁচটা মামলার উদ্ভব— এমন সিস্টেমের পরিবর্তন আনা দরকার। তৃতীয়ত, জমিজমা সংক্রান্ত (সিভিল মামলা) যত মামলা দায়ের হয়, এগুলোর মূল কারণ হলো- জমিজমার রেকর্ডপত্র, ফাইলপত্র এবং তা সংরক্ষণের কোনো সুব্যবস্থা না থাকা। একই জমির মালিকানা দাবি করেন পাঁচজন, ফলে একটা জমি থেকে চার/পাঁচটা মামলা হয়। এ মামলাগুলো কিন্তু শেষ হয় না, চলতে থাকে বছরের পর বছর।”
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ড রেকর্ড সিস্টেমটা এতো পুরোনো আমলের যে, জমির খতিয়ান, দাগ নম্বর খুঁজে পাওয়াটাই কঠিন। এ সংক্রান্ত প্রায় ছয় লাখের বেশি মামলা ঝুলে আছে। তাই সিস্টেমের পরিবর্তন আনা জরুরি।’
‘আরও একটি বিষয় আছে। অধস্তন আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। শেষ হয় বিকাল ৪টায়। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি (দুপুর ১টা থেকে ২টা)। এই সময়টাও কার্যকরভাবে পালন করা হয় না। ফলে বিচার সম্পন্ন হতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়, বেড়ে যায় মামলার জট। সর্বশেষ হাইকোর্টের কথা যদি বলতে হয়, এখানে দক্ষতা দেখে বিচারক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক পরিচয় দেখে নয়। তা হলে-ই এই পাহাড়সম মামলার জট কমিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।’
মামলার জট কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দক্ষ বিচারক নিয়োগ না দেয়া, স্থান সংকুলান না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মামলার জট বাড়ছে। এই জট কমাতে এবং বিচার কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তিতে একটি মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এর গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা জজ আদালতে কেস ম্যানেজমেন্ট (মামলার ব্যবস্থাপনা) পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে বাড়াতে হবে বিচারকের সংখ্যা, তা হলেই কমতে পারে এই জট।’