খয়বার খাইবার যুদ্ধ বলতে বুঝে শুধু খাই খাই যুদ্ধকে। তাকে যদি বলা হয় হয় তার বউ মারা গেছে তাহলে তার মাথায় প্রথম শোক না এসে আসবে লোকজন তাকে স্বান্ত্রণা দেবার জন্য খাবার নিয়ে আসবে আর সে খাবার সে সাবাড় করবে।
খয়বার তার মায়ের সাথে, বাবার সাথে, সন্তানের সাথে এমনকি নিজের সাথেও মাঝে মাঝে রাগ করে তার মাথার চুল নিজেই ছিড়ে কিন্তু খাবারের সাথে রাগ করে সে কখনো খাবার থেকে দূরে থাকে নি। তার যে দুশমন যাকে পেলে তার মারতে ইচ্ছে করে সেও যদি তাকে দাওয়াত দেয় , খেতে ডাকে তাহলে সে সব ভুলে খেতে চলে যায়। খাবার খেতে খেতে সে ভুল স্বিকার করে দুশমনের সাথেও দোস্তী করে আসে।
এমন একজন ভোজন রসিক মানুষ করোনার মত ভয়ংকর মহামারীর কারনে দোস্ত বা দুশমন যে কারোই দাওয়াত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজের টাকা খরচ করে খেলে পেট ভরে কিন্তু মন ভরে না। অন্যের বাসায় খাওয়ার জন্য তার মনটায় উসখুস করছে। করোনার প্রতি তার প্রচন্ড রাগ। তার মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে করোনাকে খেয়ে ফেলতে। সে মনে করে করোনা খেলেও তার হজম হয়ে যাবে। করোনা খাওয়ার চিন্তা সে রাতদিন করতে থাকে।
একদিন সে চায়ের দোকানে বসে ছিলো কথায় কথায় নানা কথা চলতে থাকলো। একলোক তাকে বললো খয়বার তুই যদি মিথ্যা মিথ্যা মানুষকে বুঝাতে পারিস তাদের করোনা হবে না সব করোনা তুই খেয়ে ফেলেছিস তাহলে সবাই তোকে আবার খেতে ডাকেবে তোর নাম ডাক বেড়ে যাবে।
খয়বার তখন তাকে জিজ্ঞেস করে কিভাবে করোনা খাওয়া যায়?
তার বন্ধুটি তখন তাকে বুদ্ধি দিলো তুই যদি একটা হাসপাতাল দিয়ে সবার রিপোর্ট তৈরী করিস কারো করোনা হবে না তাহলে তোর উদ্দেশ্য সফল হবে।
খয়বার সেই থেকে তার খাওয়ায় লোভে লোভাতুর হয়ে করোনা খাওয়ার পদ্ধতি আবিস্কার করে নিজের পেটের চর্বি বাড়াতে থাকলো।
নূরুন্নবী সবুজ
MDNURUNNOBIISLAM379@GMAIL.COM